ড্রাগন ফ্রুট
নামের সঙ্গে চিনের যোগ রয়েছে। তাই ড্রাগন ফ্রুটের নাম বদলে ‘কমলম’ করার প্রস্তাব দিল গুজরাতের বিজেপি সরকার। সংস্কৃত শব্দ ‘কমলম’-এর অর্থ পদ্ম। যা বিজেপির নির্বাচনী প্রতীকও বটে। মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপাণীর এই প্রস্তাবের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধী নেতাদের কটাক্ষও শুরু হয়ে গিয়েছে।
রুপাণী আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ড্রাগন ফ্রুটের নতুন নাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুজরাত সরকার। এই ফলের বাইরের অংশ পদ্মের মতো দেখতে— তাই গুজরাতে এই ফলকে কমলম নামে ডাকা হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি, ‘‘ড্রাগন ফ্রুটের নামের সঙ্গে চিনের যোগ রয়েছে। ফলে এই নাম বদলাতেই হবে।’’ রুপাণী এ-ও জানিয়েছেন, কমলম নামটির পেটেন্ট পেতে ইতিমধ্যেই প্রস্তাব পাঠিয়েছে তাঁর সরকার।
ড্রাগন ফ্রুটের আমদানি নির্ভরতা কমাতে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এখন এর চাষ হচ্ছে। অর্থকরী ফসল হিসেবে চাষিরা একে বেছেও নিচ্ছেন। গুজরাতের ভুজ, গাঁধীধাম, মান্ডভী এলাকার চাষিরা ড্রাগন ফ্রুটের চাষে জোর দিয়েছেন। গত বছরের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে এই ফল চাষের সঙ্গে ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর যোগ খুঁজেছিলেন। কচ্ছের ড্রাগন ফ্রুট চাষিদের নতুন উদ্যোগের কথা দেশের সামনে তুলে ধরেছিলেন তিনি।
এর পরেই নতুন উৎসাহে নাম বদলের যুক্তি নিয়ে এগিয়ে গিয়েছে গুজরাত। কমলম নামটি গুজরাতে বিজেপির দলীয় দফতরেরও নাম। ফলে দুয়ে দুয়ে চার। তবে নাম বদল নিয়ে বিজেপির এই উদ্যোগে বিরোধী শিবির থেকে ভেসে এসেছে কটাক্ষ। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
নাম বদলের কাজে সিদ্ধহস্ত বিজেপির আর এক মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রসঙ্গ টেনে এনে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরের মন্তব্য, ‘‘গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন না কি তাঁকে উপহাস করছেন? এই মুখ্যমন্ত্রীদের ব্যস্ত রাখতে বিজেপি যদি ন্যাশনাল রিনেমিং কাউন্সিল গড়ে তোলে, সেটা ভাল হয়। প্রশাসন চালাতে ব্যর্থ হলেও কী, এই ব্যাপারগুলিতে তাঁরা ভাল কাজ করে থাকেন।’’ কংগ্রেসের আর এক সাংসদ কার্তি চিদম্বরমের কটাক্ষ, ‘‘ড্রাগন খুন হয়ে গিয়েছে।’’ এনসিপি-র মুখপাত্র মহেশ তাপাসের মন্তব্য, ‘‘অদূর ভবিষ্যতে বিজেপি হয়ত হিন্দুস্তানকে কমলস্তান বলতে শুরু করবে। সে কথা ভেবে ভয় হয়।’’