চিকিৎসক সাহানা এবং রুয়াইস (ডান দিকে)।
বিয়ের পাকা কথা হয়ে যেতেই পাত্র এবং তাঁর পরিবার পণের জন্য তাঁর বোনের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন। এমনই দাবি করলেন কেরলের তরুণী চিকিৎসক সাহানার দাদা জ়াজিম নাজ়া।
এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “চিকিৎসক রুয়াইস ও তাঁর পরিবার আমাদের বাড়িতে কথা বলতে আসার পরই পণের বিষয়টি তোলেন। তার মধ্যে বিয়ের পাকা কথাও হয়ে গিয়েছিল। তখন আমরা জানিয়েছিলাম, যতটা সাজিয়ে গুছিয়ে দেওয়া যায়, ঠিক তেমনই দেওয়া হবে। কিন্তু তার মধ্যেই রুয়াইসের বাবা আমাদের হাতে পণের জিনিসের তালিকা ধরিয়ে দিয়েছিলেন।”
সাহানার দাদার আরও দাবি, রুয়াইস তাঁর বোনকে ফোন করে পণ দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। শুধু তাই-ই নয়, পরিবার যাতে এই পণ দিতে রাজি হয় তাঁদের সেটাও বোঝাতে বলেন। তাঁর কথায়, “আমি সে দিনই বুঝে গিয়েছিলাম যে, রুয়াইসের মূল লক্ষ্য ছিল পণ। বোনকে সে কথাও বলেছিলাম। আমি ওকে পড়াশোনার উপর মনোনিবেশ করতে পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু একেবারে ভিতর থেকে ভেঙে পড়েছিল সাহানা। ওই মানসিক পরিস্থিতি থেকে বার হতে চিকিৎসাও শুরু করেছিল।”
তরুণী চিকিৎসকের দাদা আরও দাবি করেছেন, এত কিছু জানার পর রুয়াইসকে মেসেজ করেন সাহানা। তাঁকে সাহানা জানান, এই যন্ত্রণা তিনি সহ্য করতে পারছেন না। নিজেকে শেষ করে দেবেন। কিন্তু সাহানার মেসেজের কোনও উত্তর না দিয়ে তাঁকে ব্লক করে দেন রুয়াইস। তার পরই তাঁর বোনের দেহ উদ্ধার হয়।
তিরুঅনন্তপুরম মেডিক্যাল কলেজে শল্য বিভাগে স্নাতকোত্তর করছিলেন ২৬ বছরের সাহানা। তাঁর সঙ্গেই পড়তেন ইএ রুয়াইস। তিনি আবার কেরলের স্নাতকোত্তর মেডিক্যাল পড়ুয়াদের সংগঠনের রাজ্য সভাপতি।