রাম মন্দির নিয়ে নয়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের। ছবি: পিটিআই।
অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে অনুদান দিলেই এ বার থেকে ছাড় মিলবে আয়করে। ২০২০-’২১ অর্থাৎ চলতি অর্থবর্ষ থেকেই এই নিয়ম চালু হচ্ছে। শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনস্থ রাজস্ব বিভাগের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডায়রেক্ট ট্যাক্সেস।
দীর্ঘ টানাপড়েনের পর গত বছর নভেম্বরে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। তাতে বিতর্কিত ওই জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। মসজিদ নির্মাণের জন্য বলা হয় অন্যত্র ৫ একর জমির বন্দোবস্ত করতে।
আদালতের সেই নির্দেশের পর এ বছর ৫ ফেব্রুয়ারি ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’ ট্রাস্ট গড়া হয়, যাদের তত্ত্বাবধানে মন্দির নির্মাণ হবে। শুক্রবার ওই ট্রাস্টটিকে ঐতিহাসিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং জনসাধারণের প্রার্থনাস্থল বলে উল্লেখ করা হয়। এই ট্রাস্টে দান করলে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আয়করে ছাড় পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: লাঠি-কাঁদানে গ্যাস, পুলিশ-শ্রমিক খণ্ডযুদ্ধে ফের উত্তাল সুরত
আরও পড়ুন: শ্রমিক ফেরাতে ‘অসহযোগিতা’! মমতাকে অমিতের চিঠি ঘিরে তরজা
১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ৮০-জি অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু সেবা প্রতিষ্ঠান বা সরকারি ত্রাণ তহবিলে দান করলে আয়করে ছাড় পাওয়া যায়। আবার আয়কর আইনের ১১ ও ১২ ধারায় করছাড়ের জন্য আবেদন জানাতে পারে যে কোনও সেবা প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় সংগঠনও। সরকার তাতে অনুমোদন দিলে ওই সব সংগঠনকে আয়ের উপর কোনও কর দিতে হয় না।
আবার এই ৮০জি আইনের বি অনুচ্ছেদের ৫ নম্বর উপধারা অনুযায়ী, মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার, গির্জা এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্থান নির্মাণ বা মেরামতির জন্য যে কোনও মূল্যের অর্থ দান করা যেতে পারে। ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’ ট্রাস্টকে এরই আওতায় আনা হয়েছে।
এর আগে, ২০১৭ সালে চেন্নাইয়ের মাইলাপুরের আরুলমিগু কাপালীশ্বরর তিরুকোইল মন্দির, চেন্নাইয়ের কোট্টিভাক্কমের আর্যকুড়ি শ্রী শ্রীনিবাস পেরুমল মন্দির এবং মহারাষ্ট্রের সজ্জনগড়ের রামদাস স্বামী সমাধি মন্দির ও রামদাস স্বামী মঠকে ঐতিহাসিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং জনসাধারণের প্রার্থনাস্থল বলে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, অমৃতসরের গুরুদ্বার শ্রী হরমন্দির সাহিব-সহ একাধিক ধর্মীয় স্থানে দান করলেও আয়করে ছাড়া মেলে।