বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা ও কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী।
প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে সনিয়া গাঁধীর পরিচালনাধীন কংগ্রেসের ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশন (আরজিএফ)-কে চাঁদা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলল বিজেপি। দলের সভাপতি জে পি নড্ডার অভিযোগ, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হল দুর্গতদের সাহায্য করার জন্য। কিন্তু ইউপিএ জমানায় রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনকে চাঁদা দেওয়া হচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের পরিচালন বোর্ডে কে ছিলেন? সনিয়া গাঁধী। রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কে? সনিয়া গাঁধী। নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে, স্বচ্ছতার তোয়াক্কা না-করে এ সব হয়েছে।’’
লাদাখ নিয়ে কংগ্রেসের লাগাতার আক্রমণের মুখে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনে চাঁদার অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা গিয়েছে। প্রথমত, দেশ জুড়ে কংগ্রেসের কর্মসূচি, সনিয়া-রাহুলের নিশানা থেকে নজর ঘোরানো গিয়েছে। দ্বিতীয়ত, করোনা মোকাবিলায় আলাদা করে পিএম কেয়ার্স তহবিল তৈরি ও তার স্বচ্ছতা নিয়ে কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনে ২০০৫-০৬-এ চাঁদা দেওয়ার বিষয়টি দেখিয়ে জবাব দেওয়া গিয়েছে।
নড্ডার অভিযোগের জবাবে কংগ্রেসের বক্তব্য, ২০০৫-২০০৬-এ প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় আরজিএফ-কে। সেই টাকা সুনামি বিধ্বস্ত আন্দামান-নিকোবরে ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফাউন্ডেশনে চিন থেকে আসা টাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। কংগ্রেসের তরফে রণদীপ সুরজেওয়ালা জানান, চিন থেকে পাওয়া ১.৪৫ কোটি টাকা প্রতিবন্ধী কল্যাণ এবং ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।