প্রতীকী ছবি।
প্রাতরাশে ডায়েট কোক, বার্গার এবং মিটলোফ তাঁর চাই-ই চাই! হোয়াইট হাউস সূত্রে জানানো হয়েছে, উপরোক্ত আইটেমগুলির সঙ্গে বেকন এবং ডিমের পোচও উপভোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অতিথি সৎকারে যাতে ত্রুটি না থাকে, তার জন্য সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে মোদী সরকার। শুধু মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজই নয়, পঁয়ত্রিশ ঘণ্টার ভারত সফরে ট্রাম্প পরিবারের রসনা-তৃপ্তির সেরা বন্দোবস্ত করার চেষ্টাই চলছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জেনে নেওয়া হয়েছে ট্রাম্পের প্রিয় খাদ্যতালিকা। সরকারি ভাবে এখনও জানানো না হলেও, সূত্রের খবর, আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে এবং হায়দরাবাদ হাউসে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে সেই পদগুলির কিছু কিছু রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। তার সঙ্গে অবশ্যই মিশে থাকবে সনাতন ভারতীয় খানা।
ঘটনা হল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ দু’জনই বিশুদ্ধ নিরামিষাশী। প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি থাকার সময় সেখানকার হেঁশেল আমোদিত থাকত মাছের গন্ধে। রামনাথ এসেই জানিয়েছিলেন, খুব সামান্য নুন, মশলা এবং তেলে বানানো সব্জিতেই তাঁর চলে যায়। স্বল্পাহারী রাষ্ট্রপতির বিশেষ দুর্বলতা যদি কিছু থাকে, সেটা লিট্টি চোখা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-সফরেই চাকরির বন্যা, খোঁচা কংগ্রেসের
তবে ভিভিআইপি অতিথিকে যে শুধু শাকসব্জি দিয়ে বরণ করা হবে না, তা স্পষ্ট। ঐতিহ্যও বলছে, এর আগের মার্কিন প্রেসিডেন্টরা দিল্লি এসে তাঁদের প্রিয় আমিষ খাবার (সেটা ভারতীয় খাবারও) পেয়েছেন। ২০০৬ সালে জর্জ বুশের সফরে পরিবেশন করা হয়েছিল, তাঁর প্রিয় গলদা চিংড়ি, বিরিয়ানি আর ভারতীয় কারি। মহারাষ্ট্রের আলফন্সো আমও ছিল শেষ পাতে। ২০১০ সালে আসেন বারাক ওবামা। রাষ্ট্রপতি ভবনের মেনুতে ছিল তাঁর বিশেষ আগ্রহের চিকেন শামি কাবাব, আচারি ফিশ টিক্কা, পিস্তা মুর্গ। নতুন আইটেম হিসাবে দেওয়া হয়েছিল, পালক পাপড়ি চাট আর আনারসের হালুয়া। চেটেপুটে খেয়েছিলেন বারাক। ২০১৫ সালে ফের সস্ত্রীক আসেন তিনি। সে বার মোদীর সরকার। রাষ্ট্রপতি ভবনের ভোজসভায় ছিল, সর্ষে মাছ আর কাশ্মীরের একটি মাংসের পদ ‘গুস্তাবা’।
যে সব পদ ট্রাম্পের বিশেষ পছন্দের, তার মধ্যে রয়েছে মিটলোফ। ভেড়ার মাংসের পদ এটি। প্রতি বছর তাঁর জন্মদিনে ট্রাম্পের বোন নিজে হাতে বানিয়ে তাঁকে খাওয়ান। এ ছাড়া বিভিন্ন মাংসের স্টেক, কাঁকড়া, চিংড়ি, চেরি-ভ্যানিলা আইসক্রিম, চকোলেট কেকও ভালবাসেন। শেষ পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর নেতার পাতে কী পড়ে, তাই নিয়ে বিতর্কের খুশবু ছড়াচ্ছে রাজধানীর অলিন্দে।