ছবি: রয়টার্স।
কথায় কথায় আলিঙ্গন করছেন নরেন্দ্র মোদী আর ডোনাল্ড ট্রাম্প। মোতেরা স্টেডিয়াম জুড়ে ‘ট্রাম্প-উৎসব’। টেলিভিশন দেখতে দেখতে কংগ্রেসের এক নবীন নেতা বললেন, ‘‘দম আছে মোদীর। যা ঠিক মনে করেন, তা-ই করেন। ট্রাম্পও সার্টিফিকেট দিচ্ছেন! আমাদের এমন নেতা কই?’’
কিছু ক্ষণ পরেই টুইট এল কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির। লিখেছেন, ‘‘আদর্শ যা-ই হোক, বিশ্বের অন্যতম বড় গণতন্ত্রের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানানো উচিত।’’ সঙ্গে হ্যাশট্যাগ, ‘নমস্তে ট্রাম্প’। কিন্তু এর পরেই কংগ্রেস জানাল, ট্রাম্পের সম্মানে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দেওয়া নৈশভোজে যাচ্ছেন না রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ। লোকসভায় প্রধান বিরোধী দলের নেতা অধীর চৌধুরী আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি ‘বয়কট’ করছেন নৈশভোজ। কারণ, সনিয়া গাঁধীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আজ দুপুর পর্যন্ত স্থির ছিল, মনমোহন সিংহ অন্তত যাবেন। রাতে কংগ্রেস জানাল, মনমোহনও যাচ্ছেন না।
ট্রাম্পের সফর নিয়ে রীতিমতো দ্বন্দ্ব কংগ্রেসে। বাজেট অধিবেশনেও সংসদে প্রথম সারিতে বসেননি সনিয়া, আজাদরা। ‘বয়কট’ করেছিলেন। মনমোহন বসেছিলেন প্রথম সারিতে। এ বারও আমন্ত্রণ স্বীকার করেছিলেন। কংগ্রেসের বক্তব্য, বারাক ওবামার সফরের সময় হোয়াইট হাউস থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে। কিন্তু এ বারে উপেক্ষা করা হয়েছে। সনিয়ার আমন্ত্রণ না থাকায় যাবেন না মনমোহন।
আরও পড়ুন: মোদী-ট্রাম্পের ব্যক্তিগত রসায়ন কি জোরাল করতে পারবে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক?
সরকারের এক সূত্রের দাবি, বিরোধী দলের সভাপতিকে রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে ডাকা হয় না। ২০০৬ সালে জর্জ বুশ কিংবা ২০১০ সালে ওবামার সফরের সময়ও এনডিএ চেয়ারম্যান আমন্ত্রণ পাননি। আর কংগ্রেস মুখপাত্র গৌরব বল্লভের মন্তব্য, ‘‘আগে দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের দেখা হলে বাণিজ্য-ভিসা-পেটেন্ট-পরমাণু চুক্তি নিয়ে কথা হত। এখন কথা হয়, দারিদ্র ঢাকতে কত উঁচু দেওয়াল হবে, গন্ধ এড়াতে যমুনায় কত জল ছাড়া হবে, তা নিয়ে!’’