রাঁচীতে আরএসএস-এর অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত। ছবি: পিটিআই
জাতীয়তাবাদ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা দিচ্ছে দেশের শাসক ও বিরোধীরা। এই চলমান বিতর্কের মধ্যেই বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। রাঁচীতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর একটি অনুষ্ঠানে কর্মীদের ‘জাতীয়তাবাদ’ শব্দটি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি।
এ দিন রাঁচীতে আরএসএস-এর একটি অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘জাতীয়তাবাদ (ন্যাশনালিজম) শব্দটি ব্যবহার করবেন না। জাতি (নেশন) বললে চলবে। জাতীয় (ন্যাশনাল) বললে চলবে। জাতীয়তা (ন্যাশনালিটি) বললেও চলবে। কিন্তু, জাতীয়তাবাদ বলবেন না।’’ আচমকা কেন এই পরামর্শ দিচ্ছেন আরএসএস প্রধান? তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তাঁর মতে, ‘‘জাতীয়তাবাদ জুড়ে রয়েছে হিটলারের সঙ্গে, নাৎসিবাদের সঙ্গে।’’
দেশে সাম্প্রতিক অশান্তির পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এ দিন ‘মৌলবাদ’কে কাঠগড়ায় তুলেছেন মোহন ভাগবত। সেই সঙ্গে সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার সূত্রও বলে দিয়েছেন। তাঁর মতে, ‘‘মৌলবাদের জন্যই দেশে এমন অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারতের নীতি কখনই দাসত্ব গ্রহণ করা বা দাস তৈরি করার পক্ষে নয়। প্রত্যেককে জুড়ে এক করে রাখার গুণ আছে ভারতের।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতের সংস্কৃতি হল হিন্দু সংস্কৃতি। বৈচিত্র্য থাকা সত্ত্বেও দেশের প্রতিটি নাগরিক একে অপরের সঙ্গে যুক্ত।’’ সঙ্ঘের লক্ষ্য কী, এ দিন তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘আরএসএস-এর উদ্দেশ্য ভারতকে গোটা পৃথিবীর নেতৃত্বের স্থানে নিয়ে যাওয়া।’’
আরও পড়ুন: যাদবপুরে এগিয়ে নির্দল ও বামেরাই, ইঞ্জিনিয়ারিং-এ চমক এবিভিপির
আরও পড়ুন: আগরা যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, দুর্গন্ধ ঢাকতে যমুনায় ছাড়া হল ৫০০ কিউসেক জল
বিজেপি দেশ জুড়ে উগ্র জাতীয়তাবাদকে ব্যবহার করছে বলে বার বারই অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস, বাম-সহ একাধিক বিরোধী দল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও সেই অভিযোগের তিরে বিদ্ধ করেছে বিরোধীরা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-কে ঘিরে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বিরোধীদের সেই অভিযোগের স্রোত এখনও বহমান। এই পরিস্থিতির উপর নজর রেখেই কি সরসঙ্ঘচালকের এমন বয়ান?