ছবি: পিটিআই।
যন্ত্রের মেধা আর মানুষের মিলিত প্রয়াসে অসাধারণ সব কাজ হচ্ছে। কিন্তু সেই কৃত্রিম মেধাকেই যেন অস্ত্র করে না-তোলা হয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তথা যন্ত্রমেধা নিয়ে ‘রেজ় ২০২০’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই হুঁশিয়ারি দিলেন সোমবার। তাঁর আশঙ্কা যে ‘নন-স্টেট অ্যাক্টর’-দের নিয়ে, সে কথাও স্পষ্ট ভাবেই উল্লেখ করেছেন তিনি।
বিশ্ব এখন আর কতগুলি দেশের সরকার বা শাসক নিয়ন্ত্রিত নয়। উৎপাদন, বিপণন থেকে যোগাযোগ, সামাজিক মাধ্যমের মতো বহু ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি-নির্ভর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির প্রভাব এখন গোটা বিশ্বেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। ‘নন-স্টেট অ্যাক্টর’ বলতে এই বিশাল ক্ষেত্রের নির্ণায়কদের উদ্দেশেই মোদীর আবেদন, যন্ত্রমেধাকে যেন তাঁরা কারও বিরুদ্ধে অস্ত্র করে না-তোলেন। মোদীর কথায়, “যন্ত্রমেধার ব্যবহার সম্পর্কে যাতে আস্থা থাকে, সেটা নিশ্চিত করাটা আমাদের মিলিত দায়িত্ব। (গণনার জন্য যন্ত্রকে দেওয়া শর্তগুলি তথা) অ্যালগরিদমের স্বচ্ছতা সেই বিশ্বাস গড়ে তোলার মূল বিষয়। সম ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হল, জবাব দেওয়ার দায়বদ্ধতা। নন-স্টেট অ্যাক্টরদের হাতে যন্ত্রমেধার অস্ত্র হয়ে ওঠা থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে হবে আমাদের।”
যন্ত্রমেধার প্রয়োগে ভারতে কী সুফল মিলেছে, সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রযুক্তির প্রয়োগে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। এসেছে স্বচ্ছতা। মোদীর কথায়, “আমরা চাই, যন্ত্রমেধার ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের অন্যতম কেন্দ্র (এআই-হাব) হয়ে উঠুক। অনেক ভারতীয় ইতিমধ্যে এই ক্ষেত্রে নিয়োজিত হয়েছেন। আমার আশা, আগামীতে আরও অনেকে এগিয়ে আসবেন।” এই সম্মেলনেই আইবিএএম-এর সিইও অরবিন্দ কৃষ্ণ ঘোষণা করেন, ‘গভর্নমেন্ট ই-মার্কেটপ্লেস (জিইএম)’-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতে ‘এআই সেন্টার অব এক্সেলেন্স’ গড়ে তুলবে তাঁদের সংস্থা।