বাড়িতে পড়ে রয়েছে শুধু পোষ্য। কখন ফিরবে তার পরিবার? অপেক্ষায় দিন গুনছে। ছবি: প্রতীকী
ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে গিয়েছেন বাড়ির সকলে। পড়ে রয়েছে শুধু পোষ্য। কখন ফিরবে তার পরিবার? অপেক্ষায় দিন গুনছে। সেই কুকুরের ছবি এখন ভাইরাল।
মেইতেই জনজাতির বাসিন্দারা তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতির দাবি তোলে। তার বিরুদ্ধে মিছিল করে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর (এটিএসইউএম)। বুধবারের সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে মণিপুরে হিংসা ছড়ায়। রাজধানী ইম্ফলের বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। যে সব বাড়ি ভাঙচুর হয়, তার একটিতে থাকত ওই সারমেয়। তার পরিবার এখন ঘরছাড়া। তবে সে এখনও পড়ে রয়েছে বাড়িতেই। পরিবারের অপেক্ষায়। ছবিতে দেখা গিয়েছে, বাড়িটি ভাঙচুর করে আগুন ধরানো হয়েছে। দু’টি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। সেখানে একা দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই পোষ্য।
৩ মে, বুধবার থেকে অশান্ত মণিপুর। গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। আহত অন্তত ১১ জন। মণিপুরের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যের বনাঞ্চল এবং জলাভূমির উপর জনজাতি মানুষদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে আন্দোলন চলছিলই। রাজ্য প্রশাসনের অনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছিল রাজ্যের জনজাতি ছাত্র ইউনিয়ন (এটিএসইউএম)। সম্প্রতি সে রাজ্যের মেইতেই সম্প্রদায় তাদের তফসিলি উপজাতিভুক্ত করার দাবি তুলেছে। কিন্তু রাজ্যের তফসিলি সম্প্রদায়গুলি একযোগে তার বিরোধিতা করছে। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের এই দাবি বিবেচনা করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। তার পরই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।
মণিপুরে প্রায় ৫১ শতাংশ মানুষ মেইতেই সম্প্রদায়ের। তফসিলি জাতির তকমা না থাকায় সে রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার অনুমতি পায় না তারা। মেইতেইদের অভিযোগ, মায়ানমার এবং বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রাজ্যে ঢোকার ফলে তাদের অধিকার খর্ব হচ্ছে। মেইতেইদের দাবির বিরোধিতা করছে অন্য তফসিলি সম্প্রদায়গুলি।