নীতীশের সঙ্গে দেখা করে অভিনন্দন জানানোয় তাঁকে ‘কুকুর’-এর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল। তার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে পারল না। সেই মন্তব্যের পাল্টায় শব্দটা না লিখে ঘুরিয়ে প্রতিপক্ষকে ‘কুকুর’ই বললেন বিজেপি নেতা শত্রুঘ্ন সিন্হা।
মঙ্গলবার তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘হাতি চলে বিহার,... ভওকে হাজার’। চলতি প্রবাদটি হল, ‘হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভওকে হাজার’। তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে শত্রুঘ্ন একটি শব্দ লেখেননি। এবং একটি শব্দ পাল্টে দিয়েছেন। ‘বাজার’-এর বদলে তিনি ‘বিহার’ শব্দটি জুড়ে দিয়েছেন। সোমবার শত্রুঘ্ন প্রসঙ্গে কুকুর শব্দটি বলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এ দিন তারই পাল্টা দিলেন তিনি। তবে ‘বাজার’ বদলে ‘বিহার’ লেখায় বার্তা যে শুধু কৈলাসকে দিলেন তা নয়, রাজনীতির কারবারিদের ধারণা একই সঙ্গে শত্রুঘ্ন বিজেপি নেতৃত্বকেও খোঁচা দিলেন।
বিহার ভোটে নীতীশ-লালু জোটের কাছে বিজেপি-র গো-হারা হওয়ার পর সোমবার নীতীশ কুমারকে অভিনন্দন জানাতে গিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। ১৭৮ কিলোগ্রাম লাড্ডু নিয়ে নীতীশের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আর তার পরই এই প্রসঙ্গে ‘কুকুরের’ সঙ্গে ‘শটগান’-এর তুলনা টানেন কৈলাস। তিনি বলেন, ‘‘অনেক সময় গাড়ির নীচে চলে এলে কুকুর মনে করে, গাড়িটা তার জন্য চলছে। অথচ দল চলে এক বিরাট সংগঠনের মাধ্যমে।’’ এ দিন তারই জবাব দিলেন শত্রুঘ্ন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা বেজে ২১। শত্রুঘ্ন সিন্হার টুইটার অ্যাকাউন্টে ফুটে উঠল তাঁর বার্তা। সেখানে বিজেপি-র এই নেতা লিখছেন, ‘‘বিজয়বর্গীয়-র করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মানুষ আমার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইছেন। যে কোনও দলের ছোট অথবা বড় ‘মাছি’দের জন্য আমার বক্তব্য হল, ‘হাতি চলে বিহার,.... ভওকেঁ হাজার।’’
তবে এই প্রথম মুখ খুললেন না বিজেপি নেতা শত্রুঘ্ন। বিহারে বিজেপি-র শোচনীয় পরাজয়ের তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, ‘তালি ও গালি’ দু’টোই ক্যাপ্টেনের প্রাপ্য।