সনিয়া গাঁধী— ফাইল চিত্র।
দিল্লির ধুলো-ধোঁয়ায় অসুস্থতা বাড়তে পারে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর। তাই চিকিৎসকেরা তাঁকে আপাতত দিল্লি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সেই পরামর্শ মেনেই শুক্রবার বিকেলে গোয়া চলে গেলেন সনিয়া।
চিকিৎসকদের আশঙ্কা, ধোঁয়াশা এবং দূষিত বাতাসের কারণে সনিয়ার বুকে ফের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। বাড়তে পারে শ্বাসকষ্ট। তাই করোনা আবহে কোনও ঝুঁকি না নেওয়ার কথা বলেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে দু’বার এমনই সমস্যার কারণে দিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল কংগ্রেস নেত্রীকে। প্রথম বার ফেব্রুয়ারির গোড়ায়। দ্বিতীয় বার জুলাই মাসের শেষ পর্বে।
অসুস্থতার কারণে ১৪-২৩ সেপ্টেম্বর সংসদের বাদল অধিবেশনেও যোগ দেননি তিনি। চিকিৎসার জন্য বিদেশেও গিয়েছিলেন বলে দলের একটি সূত্রের খবর। এখনও তাঁর চিকিৎসা চলছে এবং নিয়মিত মেডিক্যাল চেক আপ করাতে হচ্ছে।
শীতের শুরুতে পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানার কিছু এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে কৃষকদের একাংশ ফসলের গোড়া পুড়িয়েছেন বলে অভিযোগ। ফলে ফের দূষণের মাত্রা কিছুটা বেড়েছে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজধানীর বাতাসের গুণমান সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ৩০০-র কাছে পৌঁছে গিয়েছে। দূষণের পরিভাষায় যা ‘বেশ খারাপ’।
আরও পড়ুন: ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ, উদ্বিগ্ন অমিত শাহের মন্ত্রিগোষ্ঠী
একিউআই ৫০-এর নীচে থাকলে তা ‘স্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। গত বছরের নভেম্বরে প্রবল দূষণ এবং ধোঁয়াশার কারণে দিল্লির একিউআই ৬০০-র কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। ফলে পরিস্থিতি ‘অতি সঙ্কটজনক’ হয়ে ওঠে। এ বারও তেমন কিছু ঘটলে তার প্রভাব ক্ষতিকর হতে পারে বলে মনে করছেন সনিয়ার চিকিৎসকেরা। তাই আপাতত দিল্লি ছা়ড়ছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
আরও পড়ুন: নয়া নামে ভারতে ফিরছে পাবজি, থাকছে না চিনা নিয়ন্ত্রণ