Jagdeep Dhankhar

‘বিকৃত তথ্য দিয়ে দেশকে খাটো করার চেষ্টা’! বিবিসি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই প্রতিরোধের ডাক ধনখড়ের

বিকৃত তথ্য নিয়ে সকলকে সতর্ক করলেন ধনখড়। তাঁর মতে, ভুল তথ্য দিয়ে ভারতকে খাটো করার চেষ্টা হচ্ছে। এ সবের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৩৭
Share:

‘বিকৃত’ তথ্য দিয়ে দেশকে ‘খাটো’ করার চেষ্টা! বিবিসি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই প্রতিরোধের ডাক ধনখড়ের। ফাইল চিত্র।

বিকৃত তথ্য নিয়ে এ বার সকলকে সতর্ক করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তাঁর মতে, ভুল তথ্য দিয়ে ভারতকে খাটো করার চেষ্টা হচ্ছে। এ সবের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল। বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে সরকারি স্তরে ‘অতিসক্রিয়তা’ এবং তার পরেই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির মুম্বই এবং দিল্লির অফিসে আয়কর ‘সমীক্ষা’ নিয়ে যখন বিতর্ক চলছে, তার মাঝেই ধনখড়ের এই বক্তব্যে তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছেন কেউ কেউ।

Advertisement

বুধবার ‘ইন্ডিয়ান ইনফরমেশন সার্ভিস’-এর কয়েকজন শিক্ষানবিশ আধিকারিকের সঙ্গে নিজের বাসভবনে আলাপচারিতায় বসেছিলেন ধনখড়। সেখানে ধনখড় কোনও সংবাদ সংস্থার নাম না করলেও পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের প্রতি তাঁর ক্ষোভের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তাঁর কথায়, “গত শতাব্দীতে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এক জনের কাছে জনজীবন বিপর্যস্ত করে দেওয়ার মতো সমরাস্ত্র আছে। কিন্তু পরে সেই দাবি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।” আন্তর্জাতিক রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ধনখড় আমেরিকা-ইরাক যুদ্ধের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন, যে সময় আমেরিকা এবং কিছু সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, ইরাকের তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান সাদ্দাম হুসেনের কাছে ভয়ঙ্করতম সমরাস্ত্র আছে। কিন্তু পরে তা ভুল বলে প্রমাণিত হয়। সেই প্রসঙ্গ ফিরিয়ে এনেই ধনখড় বিদেশি সংবাদমাধ্যমের ‘বিকৃত সংবাদ’ নিয়ে সরব হতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের একাংশের দ্বারা এই ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়িয়ে ভারতের অগ্রগতিকে ‘রোধ’ করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগের সুরে জানিয়েছেন ধনখড়। দেশের ভাবী আধিকারিকদের খানিক উপদেশ দেওয়ার ঢংয়েই ধনখড় জানিয়েছেন, সংবিধান এবং জাতীয়তাবাদকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ২০০২ সালে গুজরাত নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দি মোদী কোয়েশ্চেন’ শীর্ষক দুই পর্বের একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করে বিবিসি। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের বলে ওই তথ্যচিত্র সমাজমাধ্যম থেকে তুলে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারের তরফে বলা হয়, ভারতকে খাটো করতেই ‘মিথ্যা এবং অবমাননামূলক’ তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। তার পরই গত মঙ্গলবার বিবিসির দু’টি দফতরে আয়কর সমীক্ষা চালানো হয়, যা চলে বুধবারেও। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে ভয় পাওয়াতেই এ সব করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement