— প্রতীকী ছবি।
উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁতে রোগী সেজে চিকিৎসক দম্পতির মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সর্বস্ব লুটের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা লাবেলা চকে। এর জেরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
লাবেলা চকের কাছে যোগীপুরায় বাড়ি চিকিৎসক দম্পতি সুরেন্দ্রনাথ গোভিল এবং মৃদুলার। ঘটনা গত বুধবারের। পুলিশ সূত্রে খবর, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ছ’জন ব্যক্তি রোগী সেজে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়েন। ডাক্তারবাবুর খোঁজ করতে করতে তাঁরা বাড়ির ভিতর পর্যন্ত চলে আসেন। তা দেখে তড়িঘড়ি রোগী দেখতে নিজের চেম্বারে প্রবেশ করেন সুরেন্দ্রনাথ। মৃদুলা তখন রান্নাঘরে। চিকিৎসক চেম্বারে ঢুকতেই রোগীর বেশে আসা দুষ্কৃতীরা স্বমূর্তি ধারণ করেন। মারধর শুরু হয়।
প্রথমে টানতে টানতে সুরেন্দ্রনাথকে বসার ঘরে নিয়ে আসা হয়। রান্নাঘর থেকে মারতে মারতে মৃদুলাকেও একই ঘরে আনা হয়। তার পর লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে হাত, পা বেঁধে শুরু হয় আবার মার। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বলা হয় সমস্ত টাকা, পয়সা দিয়ে দিতে। না হলে প্রাণে মারার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রাণের ভয়ে সমস্ত বলে দেন চিকিৎসক দম্পতি। দুষ্কৃতীরা নগদ টাকা, গয়না নিয়ে খিড়কির দরজা দিয়ে চম্পট দেয়।
ঠিক কত টাকার সম্পত্তি লুট হয়েছে তা এখনও জানায়নি পুলিশ। তবে অসমর্থিত সূত্রের খবর, নগদ এবং গয়না মিলিয়ে এক কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি লুট হয়েছে। জানা গিয়েছে, চিকিৎসক দম্পতির একটি হাসপাতাল আছে। যদিও বাড়িতে রোগী দেখেন না তাঁরা।