ধৃত চিকিৎসক।
সন্দেহ ছিল স্ত্রীর সঙ্গে গাড়ি চালকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। আর সেই সন্দেহের বশেই গাড়ির চালককে খুন করলেন এক চিকিৎসক। খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ টুকরো টুকরো করেন তিনি। টুকরোগুলি অ্যাসিডের জারের মধ্যে ডুবিয়ে দেন ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক। মঙ্গলবার অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় নিজের অপরাধও স্বীকার করেন অভিযুক্ত।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের হোসাঙ্গাবাদের। পুলিশ সূত্রের খবর, সুনীল মন্ত্রী নামে ৫৬ বছরের ওই ব্যক্তি একজন খ্যাতনামা অর্থোপেডিক চিকিৎসক। পুলিশের জেরায় তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী সঙ্গে গাড়ির চালক বীরেন্দ্র পচৌরির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সে জন্য স্ত্রীর থেকে দূরে থাকার জন্য বীরেন্দ্র তাকে ক্রমাগত হুমকি দিত বলে অভিযোগ করেছেন ওই চিকিৎসক।
পুলিশের জেরায় সুনীল জানান, সোমবার রাতে নিজের বাড়িতেই ৩০ বছরের বীরেন্দ্রর গলার নলি কেটে খুন করেন। তার পর দেহটির বেশ কয়েকটি টুকরো করেন তিনি। জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বীরেন্দ্রকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সে জন্য বাড়িতে অ্যাসিড এবং কাটারি মজুত করে রেখেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: দমবন্ধ লাগছিল: শাহ ফয়জ়ল
পুলিশ সুপার অরবিন্দ সাক্সেনা জানান, ওই চিকিৎসকের বাড়িতে সন্দেহজনক কিছু কাজ হচ্ছে। এই খবর পাওয়ার পরই মঙ্গলবার সকালে পুলিশ অভিযান চালায়। তখন প্রথমে চিকিৎসকের কথাবার্তায় অসঙ্গতি পান তদন্তকারীরা। ঘরের ভিতর ঢুকতেই মেঝেতে রক্তের দাগও দেখতে পায় পুলিশ। এর পরই ক্রমাগত জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: হামলা থেকে বাঁচতে সিংহকে গলা টিপে খুন!
সুনীল জানিয়েছেন, বীরেন্দ্রকে ১৬ হাজার টাকা মাস মাইনেতে গাড়ি চালক নিয়োগ করেছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই চিকিৎসকের স্ত্রী বাড়িতেই একটি বুটিক চালাতেন। তবে সোমবার থেকেই তিনি পলাতক।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)