মৌলানা রহিমউল্লা তারিক।
বিদেশের মাটিতে নিহত ভারত-বিরোধী জঙ্গিদের তালিকায় এ বার যোগ হল জইশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজ়হারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মৌলানা রহিমউল্লা তারিকের নাম। পাক পুলিশ জানিয়েছে, কাল করাচির ওরাঙ্গি টাউন এলাকায় এক ভারত-বিরোধী সভায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হয় তারিক। পাকিস্তান-সহ নানা দেশে সম্প্রতি অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের হামলায় নিহত হয় ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা একাধিক জঙ্গি নেতা।
পাক পুলিশ জানিয়েছে, ওরাঙ্গি টাউনে গত কাল এক ভারত-বিরোধী সভার আয়োজন করেছিল এক দল মৌলবাদী। তাতে কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেয়। মৌলানা তারিক সভায় যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিড়ের মধ্যে থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এক অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী। পুলিশ জানিয়েছে, খুব কাছ থেকে মৌলানাকে গুলি করা হয়েছে। আততায়ীর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ঘটনার পরেই সভায় হট্টগোল শুরু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মৌলানাকে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
৭ নভেম্বর পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছ থেকে উদ্ধার হয় লস্কর-ই-তইবা কমান্ডার খাজা শাহিদ ওরফে মিয়া মুজাহিদের মুণ্ডহীন দেহ। ২০১৮ সালে জম্মুর সুঞ্জওয়ান সেনা শিবিরে হামলার পিছনে শাহিদের হাত ছিল বলে দাবি ভারতের। অন্য দিকে, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরেই মসজিদের মধ্যে গুলি করে খুন করা হয় জম্মু-কাশ্মীরের ধাংরিতে জঙ্গি হামলার মূল চক্রী হিসেবে পরিচিত রিয়াজ় আহমেদ ওরফে আবু কাসিমকে। রাওয়ালপিন্ডিতে খুন হয়েছে হিজ়বুল মুজাহিদিন কমান্ডার বশির আহমেদ পীর। কোনও সংগঠন এ সব হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি। পাক সরকারের অবশ্য দাবি, এই ঘটনাগুলির পিছনে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা র’-এর হাত আছে। সম্প্রতি কানাডায় খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের খুনে ভারতীয় এজেন্টদের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ভারত অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।