বাইকচালককে থামিয়ে মন্ত্রীর প্রশ্ন। ছবি: সংগৃহীত। ছবি: সংগৃহীত।
বার বার সতর্ক করা হয় ‘হেলেমেট পরে বাইক চালান’। পুলিশের তরফে এই সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয় বাইকচালকদের। কিন্তু তার পরেও দেখা যায়, বহু মানুষ হেলমেট না পরেই বাইক চালাচ্ছেন। শুধু তাই-ই নয়, একসঙ্গে একই বাইকে চার-পাঁচ জনও সফর করছেন, এমন দৃশ্যও দেখা যায় মাঝেমধ্যেই। কখনও পুলিশের চোখে পড়লে তাঁদের জরিমানা করা হয়। কখনও আবার নিয়মের তোয়াক্কা না করেও হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো হয়।
পুলিশের হাতে ধরা পড়লে, আর হবে না স্যর!’, এমন কথা বলে কাকুতিমিনতি করতেও দেখা যায়। রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনা কেন বাড়ছে, তা খতিয়ে দেখতে নিজেই বিভিন্ন রাস্তাগুলি ঘুরে দেখেন উত্তরপ্রদেশের পরিবহণমন্ত্রী দয়াশঙ্কর সিংহ। তখনই তিনি এক জায়গায় দেখেন, এক ব্যক্তি তাঁর ৩ সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে বাইক চালিয়ে যাচ্ছেন। কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। ওই ব্যক্তিকে দাঁড় করান মন্ত্রী। বাইকের সামনে দাঁড়িয়ে এক সন্তান। আর পিছনে দুই সন্তানকে নিয়ে বসে ওই ব্যক্তির স্ত্রী। মোট ৫ জন।
মন্ত্রী: হেলমেট কোথায়, ভাই?
চালক: বাড়িতে।
মন্ত্রী: বাঃ, খুব ভাল কথা। (সন্তানদের দিকে তাকিয়ে) এরা কারা? আপনার সন্তান তো? ওদের ভালবাসেন?
চালক: হ্যাঁ।
মন্ত্রী: (চালকের স্ত্রী দিকে তাকিয়ে) হেলমেট পরেননি কেন? স্বামীর জীবনের মায়া আছে আপনার? সন্তানদের প্রতি মায়া আছে? যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তা হলে কী হবে?
চালক: আর হবে না স্যর।
মন্ত্রী: বাচ্চাদের মাথায় হাত রেখে বলুন, পরের বার থেকে রাস্তায় বাইক নিয়ে বার হলে হেলমেট পরবেন?
চালক: অবশ্যই।
এর পরই চালককে ছেড়ে দেওয়া হয়। মন্ত্রী জানান, রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনা কেন বাড়ছে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বেরিয়েছিলেন। তখনই এই দৃশ্য চোখে পড়ে। এর পরই তিনি রাজ্যবাসীর উদ্দেশে আহ্বান জানান, তাঁরা যেন ট্র্যাফিক আইন মেনে চলেন।