রাজনাথ সিংহ। ছবি: পিটিআই।
লাদাখে চিনের বিরুদ্ধে রণকৌশলগত অবস্থান কী হবে, তা নির্ধারণ করতে সেনাপ্রধানকে ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। আত্মজীবনী ‘ফোর স্টারস অফ ডেস্টিনি’-তে এমনই দাবি করলেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণে।
২০২০ সালের ৩১ অগস্ট রাতের একটি স্মৃতি রোমন্থন করে আত্মজীবনীতে নরবণে জানিয়েছেন, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে রেচিন লা পর্বতের গিরিখাত ধরে হঠাৎই অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে চিনের সেনা। সেই সময় কী পদক্ষেপ করা উচিত, সেই বিষয়ে আলোচনা করতে নরবণে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের সঙ্গে। সেই অভিজ্ঞতার সূত্রেই তৎকালীন সেনাপ্রধান নরবণের দাবি করেছেন যে, রাজনাথ তাঁকে বলেন, “যা উচিত মনে হয়, তাই করুন।” প্রাক্তন সেনাপ্রধানের কথায়, “তখন আমার মাথায় একাধিক চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল। আমি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে পরিস্থিতি কতটা জটিল, সে কথা বোঝাই। উনি আবার রাতে আমায় ফোন করেন।”
রাজনাথের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন তুলে ধরে নরবণের সংযোজন, “প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমায় বলেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।” তাঁকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার পর কী হয়েছিল, তা-ও জানিয়েছেন নরবণে। তিনি জানান যে, প্রথমে গুলি না চালানোর সিদ্ধান্তে অনড় ছিল সেনা। কারণ, তেমনটা হলে ভারতকেই ‘আগ্রাসনকারী’ বলে চিহ্নিত করত চিন। কিন্তু চিনের সেনা দু’রাউন্ড গুলি চালানোর পর তিন রাউন্ড গুলি চালায় ভারতীয় সেনাও। তবে হতাহতের খবর মেলেনি।
প্রসঙ্গত, ২৯ এবং ৩০ অগস্ট গলওয়ানে সংঘর্ষের পর চিনা সেনার বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। ভারতীয় সেনার তরফে দাবি করা হয় যে, একপাক্ষিক ভাবে সীমান্তের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করছে চিন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্রিগেড কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে বসে দুই দেশ।