প্রতীকী ছবি
লকডাউনের জেরে দু’মাস বন্ধ থাকার পরে আজ ফের ঘরোয়া উড়ান পরিষেবা চালু হয়েছে। প্রথম দিনেই বিপত্তি। বিভিন্ন শহরের বিমানবন্দরগুলিতে বাতিল হয়েছে বহু বিমান। যার জেরে হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। তাঁদের অভিযোগ, উড়ান বাতিল হলেও বিমান সংস্থার তরফে এ ব্যাপারে আগে জানানো হয়নি। যদিও বিমান সংস্থার আধিকারিকদের যুক্তি, করোনা আবহে বিভিন্ন রাজ্যের বিধিনিষেধের কারণে উড়ান বাতিল করতে হয়েছে।
দিল্লি থেকে ১২৫টি বিমান দেশের বিভিন্ন শহরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। দিল্লিতে নামার কথা ছিল ১১৮টি বিমানের। দিল্লি থেকে যাওয়া এবং আসা মিলিয়ে আজ ৮২টি বিমান বাতিল হয়। একের পর এক বিমান শেষ মুহূর্তে বাতিল হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন যাত্রীরা। দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনালে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। সোশ্যাল মিডিয়াতেও একের পর এক পোস্ট করেন তাঁরা। বিমান সংস্থা সূত্রের খবর, বেশ কিছু রাজ্য কেন্দ্রকে আগেই জানিয়েছিল, তারা এখনই বিমান পরিষেবা চালু করতে চায় না।
আজ ভোর ৪টে ৪৫ মিনিটে দিল্লি থেকে পুণের উদ্দেশে প্রথম একটি বিমান রওনা দেয়। মুম্বই থেকে প্রথম বিমানটি পটনার উদ্দেশে ছাড়ে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মণিপুর-সহ উত্তর-পূর্বের পাঁচ রাজ্য
দিল্লি বিমানবন্দরের মতোই যাত্রী অসন্তোষ দেখা গিয়েছে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও। আজ সেখানে প্রায় ৫০টি বিমান ওঠানামার কথা ছিল। ভোর থেকেই ছিল যাত্রীদের ভিড়। যাত্রীদের থার্মাল চেকিং চলছিল। তাঁদের মোবাইল ফোনে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ আছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিমান বাতিল হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন যাত্রীরা। সকাল ১১টা ৫ মিনিটের বিমান ধরতে আসা এক মহিলা যাত্রী বলেন, ‘‘বিমানবন্দরে এসে জানতে পারলাম বিমান বাতিল হয়েছে। জনসংযোগ বিভাগের এক কর্মী জানালেন, রাতে দিল্লিগামী বিমান থাকতে পারে। তবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।’’ চেন্নাই বিমানবন্দরের ছবিটাও একই রকম। সেথানে বিমান ধরতে আসা যাত্রী বিশ্বনাথন বলেন, ‘‘মুম্বই যাওয়ার জন্য অনেক কষ্টে তিনটি টিকিট জোগাড় করেছিলাম। এখানে এসে জানলাম বিমান বাতিল। হেল্প ডেস্কও কিছু বলতে পারছে না।’’
বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরেও আজ ন’টি বিমান বাতিল হয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু বিমানবন্দরে বহু উড়ান বাতিলের খবর পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ষপূর্তির প্রচারে অস্ত্র লকডাউন ও প্যাকেজ