Jharkhand Political Turmoil

মন্ত্রীপদ নিয়ে ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের ঘরে বিদ্রোহ, ১২ বিধায়কের হুঁশিয়ারিতে চাপে সোরেন সরকার

কিছু দিন আগেই আস্থাভোটে জিতে সরকার বাঁচিয়েছে ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-আরজেডি-কংগ্রেস জোট সরকার। কিন্তু কংগ্রেসের ঘরে বিদ্রোহের জেরে নতুন করে চাপে পড়েছে চম্পই সরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৫৮
Share:

ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন (ছবিতে ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

এ বার ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের অন্দরে বিদ্রোহ দেখা দিল। শুক্রবারই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ঘটিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে কংগ্রেসের চার জনের। বাকি কংগ্রেস বিধায়কদের বক্তব্য, ওই চার জনকে সরিয়ে নতুনদের মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করতে হবে। তাঁদের দাবি মানা না হলে ঝাড়খণ্ড বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশন ‘বয়কট’ করার ডাক দিয়েছেন হাত শিবিরের ১২ জন বিধায়ক। হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হওয়ার পর কিছু দিন আগেই আস্থাভোটে জিতে সরকার বাঁচিয়েছে ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-আরজেডি-কংগ্রেস সরকার। কিন্তু কংগ্রেসের ঘরে বিদ্রোহের জেরে নতুন করে চাপে পড়েছে চম্পইয়ের জোট সরকার।

Advertisement

শুক্রবার ঝাড়খণ্ডে নতুন আট মন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান সে রাজ্যের রাজ্যপাল। ১০ সদস্যের মন্ত্রিসভায় সকলকে দায়িত্ব ভাগ করে দেন চম্পই। কংগ্রেসের তরফ থেকে মন্ত্রী হন আলমগির আলম, রামেশ্বর ওরাওঁ, বান্না গুপ্ত এবং বাদল পত্রালেখ। এই চার জন হেমন্ত সোরেনের মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন। কিন্তু এই চার জনের বদলে মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আনার দাবি তোলেন বাকি কংগ্রেস বিধায়কেরা। এমনকি রাজভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যেতেও আপত্তি জানান তাঁরা। শেষমেশ তাঁদের বুঝিয়ে রাজভবনে নিয়ে যান ঝাড়খণ্ডের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ ঠাকুর এবং দলের পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মির।

একটি সূত্রের খবর, বিদ্রোহী বিধায়কেরা শনিবারই ঝাড়খণ্ড ছেড়েছেন। তাঁদের গন্তব্য রাজস্থানের জয়পুর। আবার কারও মতে, ১২ জন বিধায়ক দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। সেখানে তাঁরা কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে চান। বিদ্রোহী বিধায়কদের মধ্যে কুমার জয়মঙ্গলম ওরফে অনুপ সিংহ সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “আমরা ১২ জন বিধায়ক চার বিধায়ককে মন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই না। আমরা চাই, রাজ্যের পাঁচটি অঞ্চলের প্রত্যেকটি থেকে এক জন করে মন্ত্রী হোন। আমরা চাই, রাহুল গান্ধীর প্রস্তাব মতো দলে এক ব্যক্তি, এক পদ নীতি মেনে চলা হোক।” প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় কংগ্রেসের ১৭ জন বিধায়ক রয়েছেন। ১২ জন ‘বিদ্রোহী’র ক্ষোভ চার মন্ত্রী এবং দলের এক বিধায়ক প্রদীপ যাদবের উপরে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement