বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
নতুন দণ্ড সংহিতায় ভুয়ো মামলার সংখ্যা যাতে কমে তার উপরে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালেন সব দলের সাংসদেরা। একই সঙ্গে যাঁরা ভুয়ো মামলা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া শাস্তির দাবি উঠল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে জুড়ে থাকা সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।
আইন ব্যবস্থাকে নতুন রূপ দিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম নামে তিনটি বিল বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে লোকসভায় পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বিলগুলি নিয়ে টানা তিন দিন আলোচনায় বসেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। আজ শেষ দিনে মূলত ভুয়ো মামলার কারণে কী ভাবে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে— তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন সাংসদেরা। তাঁরা মেনে নিয়েছেন, অধিকাংশ ভুয়ো মামলায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে কালঘাম ছুটে যায় আমজনতার। সূত্রের দাবি, রাজ্যের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বৈঠকে বলেন, অসংখ্য মিথ্যা মামলা রয়েছে তাঁর নামে। রাজনৈতিক কারণে সেই সব মামলার শিকার হয়েছেন তিনি। দিলীপ জানান, পশ্চিমবঙ্গে এমন কোনও আদালত নেই যেখানে তাঁর নামে মামলা নেই। আর সেই মামলাগুলির অধিকাংশই ভুয়ো। মিথ্যা মামলা যে বড় একটি সমস্যা, সে কথা মেনে নিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিংহ। সূত্রের দাবি, বৈঠকে উপস্থিত স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লার কাছে অধিকাংশ সাংসদ সুপারিশ করেন, যাঁরা ভুয়ো মামলা করবেন, নতুন আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার সুযোগ রাখা হোক এবং এতে যদি কোনও পুলিশকর্মীর যোগসাজশ থাকে— তাঁর বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
নতুন দণ্ড সংহিতায় নাবালিকা গণধর্ষণের মামলায় ফাঁসির সাজার সুপারিশ করা হয়েছে। যাকে সমর্থন করেছেন সব সাংসদই। এ ছাড়া, সন্ত্রাসমূলক কাজে অভিযুক্ত হলে ফাঁসির সাজার সুপারিশ করা হয়েছে। ফাঁসির আবেদন পুনর্বিচারের বিষয়টি এক মাসের মধ্যে যাতে আদালতে নিষ্পত্তি হয়— তা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে নতুন বিলে। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার প্রশ্নে কোনও সময়সীমা রাখা হয়নি। প্রাণভিক্ষার আবেদন এলে তা তাঁর টেবিলে কত দিন পড়ে থাকবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একান্তই রাষ্ট্রপতির।