প্রতীকী ছবি।
করোনা-কালে অনলাইনে পড়াশোনা পড়ুয়াদের আরও বেশি করে ডিজিটাল-বিভাজনের মুখে ঠেলে দিচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠল সংসদের শিক্ষা বিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে।
সোমবার বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ বিনয় সহস্রবুদ্ধের নেতৃত্বে হওয়া ওই বৈঠকে আলোচনার বিষয় ছিল, করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা জারি রাখতে কতটা প্রস্তুত কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সেখানে ডিজিটাল বিভাজনের বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিহার থেকে কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ অখিলেশ প্রসাদ সিংহ। তাঁর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার-সহ বিভিন্ন রাজ্যের বহু প্রত্যন্ত অঞ্চলেই ইন্টারনেট পরিষেবা অনেক সময় মেলে না। পড়ুয়াদের অনেকের বাড়িতে স্মার্ট ফোন নেই। যাঁদের পরিবারে একটি স্মার্ট ফোন, বড়রা কাজে নিয়ে বেরিয়ে গেলে তা-ও ব্যবহারের সুযোগ পান না পড়ুয়ারা। সরকার এই সমস্যা সমাধানে কী করছে, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে দাবি, সিংহ প্রশ্ন তুলেছেন স্কুল বন্ধ থাকার সময়ে পরীক্ষাগার (ল্যাবরেটরি) ব্যবহার করতে না-পারা নিয়েও। বক্তব্য, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান পড়ানোর ক্ষেত্রে পরীক্ষাগার ব্যবহৃত হয়। স্কুল বন্ধ থাকাকালীন তার বিকল্প ব্যবস্থা কী করেছে সরকার? সূত্রের খবর, উত্তরে শিক্ষা সচিব অমিত খারে আইআইটি-দিল্লি ও আইআইটি-বম্বেতে তৈরি ভার্চুয়াল ল্যাবের কথা বললে সারা দেশের পড়ুয়ারা তা ব্যবহার করতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
সংসদের দরজা খুললে, সেখানে আলোচনা হওয়ার কথা নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, তার আগে স্থায়ী কমিটিতে ওই বিষয়ে আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে এ দিনই প্রথম কমিটিতে এসে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সক্রিয় ভাবে আলোচনায় যোগ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।