Woman Employee of MNC Died

কাজের চাপেই কেরলের তরুণীর মৃত্যু? মানতে নারাজ সংস্থা, বাবা বললেন, ‘আর কারও যেন এমন না হয়!’

পুণেতে একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করতেন বছর ছাব্বিশের তরুণী অ্যানা সেবাস্টিয়ান পেরায়িল। গত ২০ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:১৫
Share:

অতিরিক্ত ‘কাজের চাপ’ই কেড়ে নিল তরুণীর প্রাণ, চর্চা তুঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত।

একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত কেরলের তরুণীর মৃত্যু ঘিরে যখন বিতর্ক শুরু হয়েছে, ঠিক সেই সময়েই ওই সংস্থার চেয়ারম্যান রাজীব মেমানি পাল্টা দাবি করলেন, ‘কাজের চাপে মৃত্যু’ হয়নি ওই কর্মীর। তাঁর যুক্তি, দেশ জুড়ে এক লক্ষেরও বেশি কর্মী তাঁদের সংস্থায় কর্মরত। চেয়ারম্যানের কথায়, ‘‘সন্দেহ নেই যে, আমাদের সংস্থায় কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু এটা বিশ্বাস করতে পারছি না যে, কাজের চাপেই ওই তরুণী কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।’’ তবে তাঁদের সংস্থার কর্মীর মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান।

Advertisement

পুণেতে একটি বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করতেন বছর ছাব্বিশের তরুণী অ্যানা সেবাস্টিয়ান পেরায়িল। গত ২০ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়। কন্যার মৃত্যুর জন্য তাঁর সংস্থার অতিরিক্ত কাজের চাপকেই দায়ী করেছেন অ্যানার বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, কাজের চাপ এতটাই ছিল যে, ঘুম, খাওয়াদাওয়া ভুলে দিনরাত কাজেই ব্যস্ত থাকতে হত অ্যানাকে। ঠিক মতো খেতে পারতেন না তাঁদের কন্যা, ঘুমোতে পারতেন না। অ্যানার বাবা সিবি জোসেফ জানিয়েছেন, কন্যা মাঝেমধ্যেই কাজের চাপের বিষয়টি তাঁদের কাছে জানাতেন। অ্যানার ওই পরিস্থিতি দেখে তাঁকে কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি।

জোসেফ আরও জানান, জুলাইয়েই এক হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অ্যানাকে। তিনি জানিয়েছিলেন, অ্যানার শরীর ঠিকই আছে। কিন্তু ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া এবং ঘুমোনোর প্রয়োজন। কন্যার মৃত্যুর পরই বহুজাতিক সংস্থার চেয়ারম্যানকে চিঠি লেখেন অ্যানার মা। সেই চিঠিতে অ্যানার মা এই বার্তাই দিতে চেয়েছিলেন যে, তাঁদের কন্যার যে ভাবে মৃত্যু হয়েছে, আর কারও যেন এমনটা না ঘটে! তবে সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করবেন না বলেও জানিয়েছেন জোসেফ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement