ক্যাবচালককে চড় মারছেন প্রিয়দর্শিনী। ফাইল চিত্র।
আত্মরক্ষার্থেই তিনি ক্যাবচালককে চড় মেরেছেন। এমনই দাবি করলেন ভাইরাল হওয়া লখনউয়ের তরুণী প্রিয়দর্শিনী নরায়ণ যাদব। তাঁর কথায়, “পুলিশ যদি তাদের নিজেদের কর্তব্য ঠিক মতো পালন করত, তা হলে আমাকে হয়তো এ কাজ করতে হতো না।”
প্রিয়দর্শিনী আরও বলেন, “ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাবে, এটা তো হতে দেওয়া যায় না। নিজেকে বাঁচাব না। কমই মেরেছি। আরও বেশি মারা উচিত ছিল। আমাদের জীবন কি সস্তা?”
প্রিয়দর্শিনীর অভিযোগ, ক্যাবচালক সাদাত আলি সিদ্দিকি তাঁকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি কি নিছক প্রচার পাওয়ার জন্য এ কাছ করেছেন? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম তাঁকে প্রশ্ন করেছিল। তখন প্রিয়দর্শিনী পাল্টা বলেন, ‘নিজেকে কি বাঁচানোর চেষ্টা করব না?’ তাঁর কথায়, “মারা গেলে পুলিশ দেহ তুলে নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্ত করাবে। তার পর পরিবারের হাতে তুলে দেবে। এতে কার ক্ষতি হবে?”
এই প্রথম নয়, এর আগেও প্রিয়দর্শিনীর বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। গত ৩০ জুলাই লখনউয়ের কৃষ্ণনগর এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ট্যাক্সির সামনে পড়ে যান। তার পরই ওই ক্যাবচালককে আটকান প্রিয়দর্শিনী। তাঁকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন। এর পরই ক্যাবচালককে চড় মারতে দেখা যায় প্রিয়দর্শিনীকে। ২২ বার চড় মারা হয়েছে বলে অভিযোগ ক্যাবচালকের। সেই ঘটনা ভাইরাল হতেই টুইটে ট্রেন্ড হয় #অ্যারেস্টললখনউগার্ল।
এই ঘটনায় ক্যাবচালক সিদ্দিকিকে ২৮ ঘণ্টা জেল খাটতে হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না তরুণীকে। ইতিমধ্যেই তরুণীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।