প্রতীকী ছবি।
চার বছর আগে এক লাফে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয়ের বাজেট বরাদ্দ বেড়ে গিয়েছিল দশ গুণ। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের অধীন এই বিভাগের বাড়তি অর্থের সিংহভাগই ব্যয় হয়েছিল ‘সাইবার সিকিয়োরিটি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ খাতে।
ইজ়রায়েলের পেগাসাস স্পাইওয়্যার কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, শিল্পপতি, সিবিআই কর্তাদের ফোনে আড়ি পাতার চেষ্টা হয়েছিল বলে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের পরে এ বার প্রশ্ন উঠল, পেগাসাস কিনতেই কি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয়ে বাড়তি অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল?
২০১৬-১৭-য় জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয়ের জন্য বাজেটে বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। তবে খরচ হয় ৮১ কোটি টাকার মতো। ২০১৭-১৮-য় বরাদ্দ দশগুণ বেড়ে হয় প্রায় ৩৩৩ কোটি টাকা! এর মধ্যে ‘সাইবার সিকিয়োরিটি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ খাতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। পেগাসাস নিয়ে সাম্প্রতিক অনুসন্ধান বলছে, ওই সময় থেকেই পেগাসাসের মাধ্যমে নজরদারি শুরু হয়েছিল এ দেশে।
ডোভালের অধীনস্থ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয় মূলত নিরাপত্তা, রণকৌশলগত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার কাজ করে। মূলত বেতন, অফিস চালানোর জন্যই তার খরচ। একমাত্র ব্যতিক্রম সাইবার সিকিউরিটি। আজ কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা সাংবাদিক সম্মেলন করে ডোভালের নাম না করেই প্রশ্ন ছুড়েছেন, ‘‘পেগাসাস কিনতেই এই বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছিল?”
ইজ়রায়েলি সংস্থা এনএসও আগেই বলেছিল, তারা শুধু মাত্র বিভিন্ন দেশের সরকারকেই পেগাসাস স্পাইওয়্যার বেচেছে। মোদী সরকার পেগাসাস কিনেছিল না কেনেনি— এ বিষয়ে তারা কোনও কথা বলতেই নারাজ। খেরা বলেন, ‘‘আমাদের একটা সরল ও সোজাসুজি প্রশ্ন রয়েছে। মোদী সরকারের পক্ষে তা বোঝা সহজ। কেন্দ্রীয় সরকার বা তার কোনও সংস্থা কি পেগাসাস কিনেছিল?”