সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। চলছে পূণ্যস্নান। ছবি: রয়টার্স।
করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ নিয়ে যখন গোটা দেশ উদ্বিগ্ন, উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে কুম্ভ মেলায় ধরা পড়ল ভিন্ন চিত্র। কাতারে কাতারে পুণ্যার্থী শাহি স্নানের জন্য সেখানে হাজির হয়েছেন। ফলে কোভিড বিধি প্রায় শিকেয় উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সামাজিক দূরত্ব তো দূর অস্ত্ বহু পুণ্যার্থীর মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই।
দেশে যখন হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ, এমন পরিস্থিতিতে কুম্ভমেলার এই জমায়েতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অনেকের দাবি, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বিধিনিষেধকে যেন ‘প্রহসনে’ পরিণত করা হয়েছে এখানে। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী সামাজিক দূরত্ব অগ্রাহ্য করে, মাস্ক না পরে ঘেঁষাঘেষি ভাবে গঙ্গার তীরে হাজির হয়েছেন। তবে পুণ্যার্থীদের অনেকের দাবি, কোভিড নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন নন। কারণ উত্তরাখণ্ডে ঢুকতে হলে পুণ্যার্থীদের কোভিড নেগেটিভ হতেই হবে বলে নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য সরকার।
প্রতি ১২ বছর অন্তর কুম্ভমেলা হয়। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী শাহি স্নানের জন্য আসেন হরিদ্বারে। কিন্তু এ বারের কুম্ভমেলা একটা অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে হচ্ছে। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। গঙ্গার সমস্ত ঘাটে কোভিড বিধি মেনে চলার নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বড় জমায়েত এড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু পুণ্যার্থীদের অনেকেই বলছেন, বাস্তবে এটা সম্ভব নয়। মেলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিক এস কে গুঞ্জল জানিয়েছেন, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু কোভিড বিধি যাতে কঠোর ভাবে মেনে চলা হয়, সে দিকটা নজর রাখা হচ্ছে।
ছবি: রয়টার্স।
হরিদ্বারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৮ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শহরের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এবং দৈনিক সংক্রমণ এক সপ্তাহের মধ্যে ১০০ শতাংশ বেড়েছে। গত ৬ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশে আক্রান্তের ১ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৩৫৩। মার্চের শেষে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৮৪৮। দু’সপ্তাহেরও কম সময়ে ৬০০ শতাংশ বেড়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ হাজারে।