নাগপুরের শোভাযাত্রায় দেখা গেল ইমরান খানের কুশপুতুল। ছবি:টুইটর
প্রতি বছরই নাগপুরে পালিত হয় কালি পিভলি বা পিলি মারবত প্রথা। শত্রুর কুশপুত্তলিকা দাহ করে নতুন দিনের জন্যে প্রার্থনা করে শোভাযাত্রার এই প্রথা চলে আসছে ১৩০ বছর ধরে। সেই উপলক্ষেই শনিবার শত শত লোক জড়ো হয়ে এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব পালন করলেন। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এ বারের শোভাযাত্রায় পোড়ানো হল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কুশপুতুল।
১৮৮১ সালে নাগপুরের রাস্তায় ব্রিটিশ বিরোধিতার হাতিয়ার হিসেবে ওই উৎসবের সূচনা করেছিল ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। তানহানে তেলি সমাজ ১৮৮৫ সালে এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে শোভাযাত্রা শুরু করে। এই সময় থেকেই পিলি মারবত মন্দিরে প্রতি বছর কালি (কালো) ও পিভলি (হলুদ) কুশপুতুল হয়ে আসছে। নির্দিষ্ট দিনে রোগ, জরা ও শত্রুর থেকে মুক্তি পাওয়ার মন্ত্র উচ্চারণ কতরে নাইক তালাও নামক রাস্তায় এই কুশপুতুল দাহ করা হয়। রেওয়াজ অনুযায়ী, মানুষ ওই কুশপুতুলে পাথর ছুড়ে মারে। এ বার সেই অনুষ্ঠানেই লক্ষ লোকের ভিড়ে দেখা গেল ইমরান খানের কুশপুত্তলিকা।
আরও পড়ুন:অসমে চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা প্রকাশ, বাদ পড়লেন ১৯ লক্ষ
আরও পড়ুন:হাফ প্যান্ট পরে গণেশ দেখা যাবে না, পুজো উদ্যোক্তাদের উপর খাপ্পা সাধারণ মানুষ
কুশপুত্তলিকাটি ইমরানের ঢঙেই পঠান কোট পরানো হয়েছিল। উদ্যোক্তারা তার বুকে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন একাধিক প্ল্যাকার্ড।একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‘পাকিস্তানকে ঘর মে নেহি হ্যা খানা, ভারত কো জঙ্গ কি ধমকি দেনা।’’ অন্যটিতে আবার সরাসরি হুমকি, ‘‘পাকিস্তান তেরা বাপ হ্যা হিন্দুস্তান।’’ সাধারণ মানুষ বিপুল উৎসাহ নিয়ে এই কুশপুতুল দাহও করল।
ভারতে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের তিক্ততা চরমে পৌঁছেছে। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করলেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। ভারত অনড় থেকেছে নিজের অবস্থানেই। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ কখনও বরদাস্ত করা হবে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। শুধু প্রশাসনিক স্তরেই নয়, আপামর জনগণও যে পাকিস্তানের এই হস্তক্ষেপে অখুশি তা আরও একবার বোঝা গেল এই কালি পিভলি উৎসবে।