মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। ফাইল চিত্র।
মুক্তির পর বিলকিস বানোর ধর্ষকদের যেভাবে স্বাগত জানানো হয়েছিল, তা নিয়ে দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ বার এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। বললেন, এ ধরনের কাজ ‘অযৌক্তিক’।
মহারাষ্ট্রের ভাণ্ডারা জেলায় এক মহিলাকে নির্যাতন করে তিন জন। বিধান পরিষদের আলোচনায় সে প্রসঙ্গ ওঠে। সেই সূত্র ধরেই উঠে আসে বিলকিস বানোর ধর্ষকদের কথা। তখনই ফডণবীস বলেন, বিলকিসের প্রসঙ্গ এখানে আনা ঠিক নয়।
মহারাষ্ট্রের গৃহমন্ত্রী ফডণবীস বলেন, ‘‘১৪ বছর জেলে থাকার পর অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই তাঁদের মুক্তি হয়েছে। তবে কোনও অপরাধীকে সম্মান দেখিয়ে স্বাগত জানানো ঠিক নয়। অভিযুক্ত আসলে অভিযুক্তই। তাই এই কাজের পিছনে কোনও যুক্তি নেই।’’
২০০২ সালে গোধরা কাণ্ডের পরবর্তী সময়ে গণধর্ষিত হন বিলকিস বানো। তাঁর পরিবারের সাত সদস্যকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে মুম্বই আদালত ১১ জনকে ধর্ষণের অপরাধে যাবজ্জীবন সাজা দেয়। পরে সেই সাজা বহাল রাখে বম্বে হাই কোর্ট।
১৫ বছরেরও বেশি সময় জেল খাটার পর এক অপরাধী সুপ্রিম কোর্টে মুক্তির আবেদন করে। সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি নিয়ে গুজরাত সরকারকে নজর দিতে বলে। এর পরেই কমিটি গঠন করে গুজরাত সরকার। তাদের সুপারিশে ১৫ অগস্ট ওই ১১ জন জেল থেকে ছাড়া পান। তাঁদের মালা পরিয়ে স্বাগত জানানো হয়।