কাপড়ে ঝুলিয়ে রোগীর দেহ এল গ্রামে। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
প্রবল জ্বর হওয়ায় বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন পুলু মাঝি। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির কয়েক ঘণ্টা পরই মৃত্যু হয় তাঁর বাবার। বাবার দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল থেকে শববাহী গাড়ি চান পুলু। কিন্তু অভিযোগ বারবার বলা সত্ত্বেও মেলেনি গাড়ি। তাই বাধ্য হয়ে পরিবারের অন্যদের সাহায্যে কাপড়ে বাবার দেহ নিয়ে ৫ কিলোমিটার হেঁটে বাবার দেহ নিয়ে গ্রামে ফিরেছেন তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার কালাহান্ডি জেলার মেলঘর গ্রামে। গত সোমবার ৫৫ বছরের নিগাদি মাঝিকে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর বারবার শববাহী গাড়ি চাইলেও পাননি তাঁর পরিবারের লোকজন। সে জন্যই তাঁর দেহ কাপড়ে বেঁধে ঘাড়ে করে নিয়ে যান তাঁর পরিবারের লোক।
নিগাদির ছেলে পুলু মাঝি বলেছেন, ‘‘বেসরকারি গাড়ি ভাড়া করার মতো টাকা আমার নেই। যখন বারবার বলা সত্ত্বেও গাড়ির কথা ওদের কানে গেল না তখন আমার আত্মীয়রা বাবার দেহ কাপড়ে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে।’’ দিন মজুরির কাজ করা পুলুর কাছে এর বাইরে কোনও উপায় আর সেদিন ছিল না। ওই দেহ বেঁধে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলুরই এক আত্মীয় গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করেন। আর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন : ছেলের সঙ্গে অর্জুন রামপালের প্রথম ছবি প্রকাশ্যে এল
আরও পড়ুন : ‘মেয়েদের জন্য বিয়ার’ আনার কথা প্রচার করে বিতর্কে গুরুগ্রামের পানশালা
তবে ওড়িশার সরকারের শবদেহ বহনের জন্য রয়েছে ‘মহাপ্রয়াণ’ প্রকল্প। বাবার দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য সেই প্রকল্পের সুবিধা পাননি পুলু। ঘটনা নিয়ে ওই হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার অবিনাশ বলেছেন, ‘‘ওই রোগীকে সকাল ৯টায় নিয়ে আসা হলে দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। আমাদের হাসপাতালে জুনাগড়, কালামপুর ও থুয়ামুল রামপুর যাওয়ার জন্য শবগাড়ি আছে।’’ বিষয়টি নিয়ে কালাহান্ডির জেলার প্রধান মেডিক্যাল অফিসার বনলতা দেবী বলেছেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে তবেই বিযয়টি নিয়ে সবিস্তার বলা সম্ভব।’’