Rahul Gandhi

রাহুলকে চাই, ফের দাবি উঠল বৈঠকে

আগামী ১০ অগস্ট কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী পদে সনিয়ার এক বছর পূর্ণ হবে। তাঁর মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা হওয়ার কথা। লোকসভার সাংসদদের পরে রাজ্যসভার সাংসদদের বৈঠকেও রাহুলকে সভাপতি পদে ফেরানোর দাবি ওঠার পরে দলীয় সূত্রের খবর, শীঘ্রই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২০ ০৫:১৩
Share:

ছবি সংগৃহীত

ফের সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে কংগ্রেস নেতাদের বৈঠক। ফের দাবি উঠল, রাহুল গাঁধী কংগ্রেস সভাপতি পদে ফিরুন।

Advertisement

দলের লোকসভার সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকের পরে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া শুক্রবার রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, সেখানে প্রায় দু’ডজন সাংসদ দাবি তোলেন, রাহুলকে দ্রুত কংগ্রেসের সভাপতি পদে ফেরানো হোক। চার ঘণ্টার ভিডিয়ো-বৈঠকে চিনের আগ্রাসন, অতিমারি, আর্থিক সঙ্কট থেকে রাজস্থানের রাজনীতি, প্রায় সব বিষয়ে আলোচনা হলেও রাহুলকে কংগ্রেস সভাপতি পদে ফেরানোর বিষয়টিই প্রধান হয়ে ওঠে।

আগামী ১০ অগস্ট কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী পদে সনিয়ার এক বছর পূর্ণ হবে। তাঁর মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা হওয়ার কথা। লোকসভার সাংসদদের পরে রাজ্যসভার সাংসদদের বৈঠকেও রাহুলকে সভাপতি পদে ফেরানোর দাবি ওঠার পরে দলীয় সূত্রের খবর, শীঘ্রই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হবে। এর আগে লোকসভার সাংসদদের সঙ্গে সনিয়ার বৈঠকের সময়ে গৌরব গগৈ, মাণিকম ঠাকুরের মতো তরুণ সাংসদেরা রাহুলকে ফেরানোর দাবি তুলেছিলেন। ওই বৈঠকে রাহুল নিজে হাজির থাকলেও কিছু বলেননি।

Advertisement

আজ দিগ্বিজয় সিংহ, রাজীব সতাভ, পি এল পুণিয়া, রিপুণ বরা, শক্তিসিন গোহিল, নীরজ ডাঙ্গি-সহ প্রায় দু’ডজন সাংসদ যুক্তি দেন, রাহুলকে দলের নেতৃত্ব দিতে হবে। তৃণমূল স্তর থেকে নেতা তুলে আনার উপরেও জোর দেন অনেকে। এঁদের যুক্তি ছিল, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সচিন পাইলটের মতো নেতাদের বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়েই বিপদ হয়েছে।

বৈঠকে দিগ্বিজয় সিংহ মত দেন, রাহুলই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে অবস্থান নিচ্ছেন। তাঁরই উচিত কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দেওয়া। সম্প্রতি এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারও একই যুক্তি দিয়েছেন। অসমের কংগ্রেস নেতা রিপুণ বরা বৈঠকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাহুল ছাড়া আর কেউ নেতৃত্ব দিতে পারবেন না। অতিমারির সময়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে রাহুলের সামনে থেকে নেতৃত্বের প্রশংসা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। সোমেন মিত্রের প্রয়াণের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সাংসদদের মধ্যে প্রদীপ ভট্টাচার্য বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। তবে রাজ্যের আর এক সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement