প্রতীকী ছবি।
রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকার দূষণ নিয়ে অভিযোগ জানাতে দিল্লিবাসীকে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নেওয়ার কথা বলল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে, ফেসবুক-টুইটারে পেজ বানিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড। বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাসিন্দাদের নালিশ জানানোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি মদন বি লোকুরের বেঞ্চ। পর্যটনেও এই মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ছাপ পড়ছে ।
২০১৫-র এপ্রিলে দিল্লির রাস্তা থেকে ১৫ বছরের পুরনো পেট্রল চালিত গাড়ি ও ১০ বছরের পুরনো ডিজেল চালিত গাড়ি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় জাতীয় পরিবেশ আদালত। ওই বছরই মে-তে পরিবেশ আদালতের এই নির্দেশ বাতিলের আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। তিন বছর কাটলেও সেই নির্দেশ না মানায় আজ সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে কোর্ট। সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, ইতিমধ্যেই ৪০ লক্ষ পুরনো গাড়ির অনুমোদন বাতিল করেছে পরিবহণ দফতর।
মঙ্গলবারও দিল্লির বাতাসের মান প্রচণ্ড খারাপ বলে চিহ্নিত করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বুধবার পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হয়েছে। আজ বাতাসে গুণগত মানের সূচক ক্ষতিকর পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯২। দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড জানাচ্ছে, যা ‘মারাত্মক’ আকার নিতে পারে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে।
দূষণের জেরে নভেম্বর-ডিসেম্বরে দিল্লিতে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের যাতায়াত কমেছে বলে জানান হোটেল মালিক, ট্যুর অপারেটর ও ট্র্যাভেল এজেন্টরা। ভ্রমণ নির্দেশিকায় রাজধানীর দূষণ নিয়ে সাবধান করছে ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলি। বালু রামাচন্দ্রন নামে এক ট্যুর অপারেটরের কথায়, ‘‘পরিবার নিয়ে আসা পর্যটকের সংখ্যা ৮% কমেছে।’’