তিহাড় জেল। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির তিহাড় জেল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! সূত্রের খবর, মঙ্গলবার জেল কর্তৃপক্ষ এমনই এক ইমেল পান। খবর দেওয়া হয় দিল্লি পুলিশকে। খবর পাওয়া মাত্রই জেলে পৌঁছয় বম্ব স্কোয়াড। কিন্তু সন্দেহজনক কিছু মেলেনি বলেই খবর জেল প্রশাসন সূত্রে।
কুখ্যাত গ্যাংস্টার থেকে শুরু করে অনেক রাজনীতিকের বর্তমান ঠিকানা তিহাড় জেল। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল থেকে শুরু করে দিল্লির আবগারি মামলায় ধৃত আপ নেতা মণীশ সিসৌদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন, বিআরএস নেত্রী কে কবিতারা এই তিহাড়েই বন্দি। দিন তিনেক আগে অবধি এই জেলেই ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। অন্তর্বর্তী জামিনে ছাড়া পাওয়া কেজরীকে আবার ২ জুন তিহাড়ে এসে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
তিহাড়ের মতো এ হেন ‘হাইপ্রোফাইল’ জেলে বোমা মারার হুমকি বার্তা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ জেল কর্তৃপক্ষ একটি ইমেল পান। সেই মেলের বয়ান, ‘তিহাড় জেলে বোমা ফেলা হবে।’ সেই মেল পাওয়ার পরেই জেল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
জেল সন্দেহজনক কিছু না মিললেও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ। কে বা কারা এই মেল পাঠালেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালেই রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতালের কাছে বোমায় ওড়ানোর হুমকি ফোন যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে দিল্লির চারটি হাসপাতালে ওই হুমকি দিয়ে ফোন করা হয়েছিল। সেই ফোন পাওয়ার পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতালগুলিতে।
গত ১ মে দিল্লি এবং এনসিআরের প্রায় ১০০টি স্কুলে হুমকি ইমেল পাঠানো হয়েছিল। তাঁর ঠিক পাঁচ দিন পর গুজরাতের আমদাবাদের সাতটি স্কুলে ঠিক একই রকম হুমকি মেল পাঠানো হয়। এ ছাড়াও গত ১২ মে দিল্লি বিমানবন্দরে একটি অচেনা ঠিকানা থেকে হুমকি ইমেল আসে। সেই মেলে বলা হয়, বিমানবন্দরে বোমা রাখা আছে। ওই দিনই রাজধানীর দু’টি সরকারি হাসপাতালেও হুমকি মেল পাঠানো হয়েছিল। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এ বার তিহাড় জেলে বোমাতঙ্ক ছড়াল ‘উড়ো’ মেলকে কেন্দ্র করে।