Delhi Doctor Murder Case

মেয়ের সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চিকিৎসককে খুন নার্সের স্বামীর! সন্দেহ বিবাহবহিভূত সম্পর্কের

বুধবার মধ্যরাতে দিল্লির জইতপুরে কালিন্দীকুঞ্জ থানা এলাকার নিমা হাসপাতালে নিজের চেম্বারে বসে কাজ করছিলেন জাভেদ। সে সময় আচমকাই বছর ১৬-র দুই কিশোর চেম্বারে ঢুকে গুলি চালিয়ে তাঁকে খুন করে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:১১
Share:

(বাঁ দিকে) দিল্লির জইতপুরে কালিন্দীকুঞ্জ থানা এলাকার নিমা হাসপাতাল, মৃত চিকিৎসক জাভেদ আখতারকে। —ফাইল ছবি।

দিল্লির চিকিৎসক খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁকে খুন করতে ‘সুপারি’ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, যে দুই নাবালককে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের এক জনের বয়ানে জানা গেল হত্যার নেপথ্যে থাকা আসল কারণ। সে জানায়, তার প্রেমিকার বাবার কথাতেই খুন করেছে নিমা হাসপাতালের চিকিৎসক জাভেদ আখতারকে।

Advertisement

বুধবার মধ্যরাতে দিল্লির জইতপুরে কালিন্দীকুঞ্জ থানা এলাকার নিমা হাসপাতালে নিজের চেম্বারে বসে কাজ করছিলেন জাভেদ। সে সময় আচমকাই বছর ১৬-র দুই কিশোর ঢুকে পড়ে সেই চেম্বারে। জাভেদকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালিয়ে পালায়। চিকিৎসক খুনের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে।

এই ঘটনায় পুলিশ এক জন সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশের কাছে সে স্বীকার করেছে, ওই হাসপাতালের এক নার্সের স্বামীর কথাতেই জাভেদকে গুলি করেছে। ওই নার্সের স্বামীর সন্দেহ ছিল, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল জাভেদের। সেই সন্দেহের বশেই খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।

Advertisement

কেন জাভেদকে খুন করতে গিয়েছিল ওই নাবালক? তার বয়ান অনুযায়ী, ওই নার্সের মেয়ের সঙ্গে প্রেম করত সে। সে কথা জানতে পারে তার প্রেমিকার বাবা। তাকে ডেকে তিনি জানান, যদি সে জাভেদকে খুন করতে পারে, তবে তাঁর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেবেন। সেই ‘টোপে’ই রাজি হয়ে যায় ওই নাবালক।

তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, নাবালিকার বাবার এটিএম থেকে টাকাও তুলেছিল ওই নাবালক। কিন্তু কেন টাকা তুলেছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। একই সঙ্গে ওই নাবালকের সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টও রয়েছে তদন্তকারীদের আতশকাচের নীচে। দাবি, অভিযুক্ত সমাজমাধ্যমে পিস্তল হাতে একটি ছবি পোস্ট করে। সেখানে সে লেখে, ‘‘২০২৪ সালে প্রথম খুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement