মঙ্গলবার দিল্লির সফদরজং এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হু হু করে কমছে তাপমাত্রা। তাহলে কি এ বার শূন্য ডিগ্রিতে নেমে যাবে দিল্লির পারদ? জল্পনা তেমনই। কারণ মঙ্গলবার দিল্লির সফদরজং এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিল্লির হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেই তাপমাত্রা কমতে পারে আরও ২ ডিগ্রির বেশি। ফলে এমনটা হতেই পারে, দিল্লির তাপমাত্রা পৌঁছে গেল ০ ডিগ্রিতে।
সোমবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৬ ডিগ্রি। ২৪ ঘণ্টায় সেই তাপমাত্রা কমেছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পশ্চিম হিমালয় ও পাদদেশীয় অঞ্চলে প্রায় সর্বত্রই বরফ পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকা, হিমাচল প্রদেশের শিমলা, মানালী, ডালহৌসি। উত্তরাখণ্ডেও বরফ পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় চলছে শৌত্যপ্রবাহ।
আবহওয়া দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরে গেলে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। কারণ তখন বাধাহীন ভাবে ঢুকবে উত্তুরে বাতাস। সে ক্ষেত্রে উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা এখনকার থেকে ৩-৫ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী তিন-চারদিনে এই শৈত্যপ্রবাহ তীব্র হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শৈত্যপ্রবাহের দাপট চলতে পারে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি ও উত্তর রাজস্থানে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ডিসেম্বরের ৩০ ও ৩১ তারিখ থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ও ওড়িশাতেও।
সাধারণত ১০ ডিগ্রি বা তার নীচে যদি তাপমাত্রা পৌঁছে যায়, তখন তাঁকে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা উত্তর ভারতের বেশিরভাগ অংশেই তাপমাত্রার এই বিপুল পতন হতে পারে।
উত্তর পশ্চিম ভারতের বেশিরভাগ শহরগুলিতেই শীতের সময়ে বাতাসে দূষণের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। এ বারেও তার অন্যথা হয়নি। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের বিচারে বাঘপত, গুরুগ্রাম, নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, গাজিয়াবাদের মতো শহরগুলির বাতাসে দূষণের মাত্রা ছিল অনেকটাই। যদি গত সপ্তাহের তুলনায় তা কিছুটা ভাল বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন: তাঁর মতোই লক্ষ্য অমর্ত্য সেন, সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আরও পড়ুন: রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার কর্নাটক বিধান পরিষদের ডেপুটি স্পিকারের দেহ