রাজধানীর বাতাসের সামান্য উন্নতি। —ফাইল চিত্র।
সোমবার এক ধাক্কায় অনেকটাই কমল দিল্লির দূষণের মাত্রা। প্রায় এক মাস পরে রাজধানীতে বাতাসের গুণমানের সূচক (একিউআই) নামল ৩০০-র নীচে। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন দিল্লিবাসী। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুষ্ক উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বাতাস এবং সূর্যের আলো দূষণ কমাতে সহায়তা করছে।
রাজধানীর বাতাসের গুণমান গত এক মাস যাবৎ ‘খুব খারাপ’ (৩০১-৪০০) এবং ‘অতি ভয়ানক’ (৪০১-৫০০) পর্যায়ে ছিল। এই অবস্থা চিন্তা বাড়িয়েছিল দিল্লি প্রশাসনের। দূষণ রোধে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এমনকি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ব্যবস্থা নিয়েছিল সরকার। তবে কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছিল না দিল্লির দূষণ। তবে সোমবার আশার আলো দেখাল একিউআই। ‘সন্তোষজনক’ পর্যায়ে না গেলেও দিল্লির বাতাসের গুনমান ‘খুব খারাপ’ নয়।
রবিবার বিকেলে দিল্লির একিউআই ছিল ২৮৫। সোমবার সকাল ৮টায় সেই সূচক আরও কিছুটা কমে ২৭৩-এ দাঁড়িয়েছে। তবে গত এক মাসের তুলনায় বাসিন্দাদের কাছে সোমবারের রাজধানীর বাতাস যথেষ্ট ‘ভাল’। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ অক্টোবর শেষ বার দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচক ২৬৩ অর্থাৎ ‘খারাপ’ পর্যায়ে ছিল। তার পর থেকেই সূচক কখনও ‘খুব খারাপ’, কখনও আবার ‘অতি ভয়ানক’। সিপিসিবি তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণগত মানের সূচক যদি শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে তা হলে তা ‘ভাল’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। ৫১-১০০ সন্তোষজনক, ১০১-২০০ সামান্য খারাপ, ২০১-৩০০ খারাপ, ৩০১-৪০০ খুব খারাপ, ৪০১-৫০০ অতি ভয়ানক।
দিল্লিতে বাতাসের গুণমান সূচক মাপার জন্য ৩৭টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, রবিবার ১১টি কেন্দ্রের বাতাসের গুণমান সূচক ছিল ‘খুব খারাপ’। আনন্দ বিহারে একিউআই ছিল ৩৪২, আইটিওতে ৩২১, মুণ্ডকায় ৩৬০। তবে শহরের কিছু অংশে একিউআই রবিবারই ৩০০-র নীচে নেমেছিল। লোধি রোডে ২৫৬, পুসায় ২৮৯, ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৯৯ ছিল একিউআই।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, শনিবার থেকেই ধারাবাহিক ভাবে দিল্লিতে উত্তর-পশ্চিমি বাতাস ঢুকছে। প্রায় চার কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। রবিবার তার বেগ আরও বেড়েছে। শুধু তা-ই নয়, ঘন কুয়াশার চাদর না থাকায় সূর্ষের আলো ভূপৃষ্ঠে পৌঁছতে পারছে। মূলত এই দুইয়ের জেরেই রাজধানীর বাতাসের মানের উন্নতি হচ্ছে।