দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই ট্রেন। ছবি: এক্স।
দুর্ঘটনার কবলে বিহারের দ্বারভাঙা থেকে নয়াদিল্লিগামী সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস। চলন্ত অবস্থায় কাপলিং ছিঁড়ে যাওয়ায় ট্রেনটি দু’টি অংশে ভাগ হয়ে যায়। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সমস্তিপুর-মুজফ্ফরপুর রেল ডিভিশনের পুসা স্টেশনের কাছে। এই ঘটনার খবর পেতেই সোনপুর থেকে রেলের কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এই ঘটনার পর ট্রেনটিকে পুলা স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়।
চলন্ত অবস্থায় ট্রেনের বগি আলাদা হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। বিশেষ করে সম্প্রতি পর পর বেশ কয়েকটি ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও মানুষের মনে গেঁথে রয়েছে। বিহারে সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা সেই স্মৃতিকে উস্কে দিয়েছে। যদিও এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে রেল সূত্রে খবর। এক যাত্রী জানান, ট্রেনের গতি ভালই ছিল। আচমকা একটা ঝাঁকুনি লাগে, তার পরই দেখেন ট্রেনের গতি কমতে শুরু করেছে। তখনও তাঁরা বুঝে উঠতে পারেননি যে, তাঁদের বগি কাপলিং ছিঁড়ে আলাদা হয়ে গিয়েছে।
ট্রেন ম্যানেজার বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তত ক্ষণে ইঞ্জিনের সঙ্গে থাকা বগিগুলিকে নিয়ে ট্রেনটি কয়েকশো মিটার দূরে চলে গিয়েছিল। ট্রেন ম্যানেজারের কাছ থেকে সতর্কবার্তা পেয়েই ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেন চালক। যেখানে ঘটনাটি ঘটে তার আশপাশের গ্রামে খবর চাউর হতেই লোকজন ভিড় জমান। রেল সূত্রে খবর, ট্রেন দু’ভাগে ভাগ হয়ে যেতেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যদিও পরে ঘটনাটি জানাজানি হতে আশ্বস্ত হন যাত্রীরা। রেল সূত্রে খবর, চালক টেরই পাননি যে ট্রেনের কাপলিং ছিঁড়ে কিছু বগি আলাদা হয়ে গিয়েছে। ট্রেন ম্যানেজার সতর্ক করতেই আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করান।
এই ঘটনার খবর পেয়ে রেলের শীর্ষ আধিকারিক, ইঞ্জিনিয়ারেরা ঘটনাস্থলে এসে ট্রেনের কাপলিং আবার জুড়ে দেন। এই ঘটনার জেরে ওই রুটে ট্রেন চলাচল কিছু ক্ষণের জন্য ব্যাহত হয়। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। (ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)