জহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দিল্লির জহাঙ্গিরপুরী এলাকায় গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়লেন দলের মহিলা প্রতিনিধিরা। শুক্রবার তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের নেতৃত্বে পাঁচ জন মহিলা নেত্রীর একটি প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত সি-ব্লকের মূল ঘটনাস্থলে না গিয়েই ফিরে যান কাকলিরা। তবে কাকলি বলেছেন, ‘‘আমরা স্থানীয় এক মহিলা এবং বাচ্চাদের সহায়তায় পিছনের রাস্তা দিয়ে ঘটনাস্থলের কাছে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। নোট নিয়েছি। ছবিও তুলেছি।’’
কাকলির নেতৃত্বে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, অপরূপা পোদ্দার, সাজদা আহমেদ, প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’-এর সদস্য হিসেবে জহাঙ্গিরপুরী গিয়েছিলেন। হিংসাস্থলে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ তাঁদের সেখানে পৌঁছতেই দেয়নি বলে অভিযোগ। অর্পিতা বলেন, ‘‘জহাঙ্গিরপুরী এলাকায় পৌঁছতেই আমাদের ব্যারিকড করে ফেলা হয়। কারও সঙ্গে কথা বলতেই দেওয়া হয়নি। চারিদিকে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে।’’
কাকলি বলেন, ‘‘পুরো এলাকা চারিদিক থেকে ব্যারিকেড করে ঘিরে রেখেছে। সে দিন ঠিক কী ঘটেছিল, বিজেপি সরকার তা জানতে দিতে চাইছে না। সত্যকে আড়াল করাই ওদের এক মাত্র উদ্দেশ্য।’’ তৃণমূলের পাশাপাশি, সমাজবাদী পার্টির প্রতিনিধিদল এবং সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজাকেও দিল্লি পুলিশ শুক্রবার জহাঙ্গিরপুরীর অশান্তির জায়গায় যেতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তৃণমূলের প্রতিনিধিরা যে পথ ব্যবহারের চেষ্টা করছিলেন, সেটি সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।