সংসদ ভবন। -ফাইল ছবি।
বাজেট অধিবেশনে বার বার বাধা দেওয়ায় কংগ্রেসের যে সাত জন সাংসদকে গত সপ্তাহে সাসপেন্ড করেছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, বুধবার তাঁদের প্রত্যেকের উপর থেকেই সাসপেনশন তুলে নেওয়া হল। দিল্লিতে হিংসার ঘটনা নিয়ে আলোচনার দাবিতে গত সপ্তাহে লোকসভায় সরব হয়েছিলেন কংগ্রেসের সাত জন সাংসদ।
এ দিন বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিরা লোকসভায় স্পিকারের ঘরে গিয়ে সাত কংগ্রেস সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানান। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, প্রতিশোধেই সাত জন কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। ‘বিষয়টা আমার দল ছেড়ে দেবে না’ বলেও হুঁশিয়ারি দেন অধীর।
ও দিকে, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন, ‘‘ওঁরা (সাত কংগ্রেস সাংসদ) স্পিকারের টেবিল থেকে কাগজ তুলে অন্য সাংসদদের লক্ষ্য করে ছুড়েছিলেন। ওঁদের লোকসভার সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া উচিত।’’
আরও পড়ুন: বন্ধ হোক আইপিএল, এ বার আবেদন মাদ্রাজ হাইকোর্টে
আরও পড়ুন: আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে দিল্লিতে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল, বাজেট অধিবেশনের মধ্যেই তা নিয়ে আলোচনার দাবিতে গত সপ্তাহে লোকসভায় সরব হয়েছিলেন কংগ্রেসের সাত জন সাংসদ গৌরব গগৈ, টি এন প্রতাপন, ডিন কুরিয়াকোস, বেন্নি বেহানানম, মানিকাম ঠাকুর, রাজমোহন উন্নিথান ও গুরজিত সিংহ আউজলা। সবচেয়ে বেশি হইচই হয় গত সোম ও মঙ্গলবার। ওই দু’টি দিনে সরকার ও বিরোধী পক্ষের সাংসদদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও কাগজের টুকরো ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে।
ওই সব ঘটনায় লোকসভায় বাজেট-আলোচনায় বার বার বাধা পড়েছে, এই অভিযোগে স্পিকার সাত কংগ্রেস সাংসদকে পরে সাসপেন্ড করেন।
গত সোমবারের ঘটনার পরেই স্পিকার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন। শান্তিতে অধিবেশন চালানোর জন্য সব পক্ষকে রাজি করাতে। আর মঙ্গলবারের ঘটনার পর স্পিকার সরকার ও বিরোধী পক্ষের সাংসদদের এমন হুঁশিয়ারিও দেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তিনি অভিযুক্ত সাংসদদের গোটা অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দিতে পারেন।