সনিয়া গাঁধী। ছবি: পিটিআই।
দিল্লির হিংসা শুরুর ছ’দিন পরেও নড়ানো যায়নি কংগ্রেস নেতাদের। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আলোচনার পর লিখিত নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও একই হাল। অবশেষে পাঁচ জনের একটি কমিটি গড়ে হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখার নির্দেশ দিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী।
সভানেত্রীর নির্দেশ পালন করে দলের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতা কে সি বেণুগোপাল আজ বিবৃতি দিয়ে বলেন— মুকুল ওয়াসনিক, সুস্মিতা দেব, শক্তিসিন গোহিল, শৈলজা ও তারিক আনোয়ার যাবেন দিল্লির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে। সনিয়ার নির্দেশ, অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সবিস্তার রিপোর্ট দিতে হবে তাঁকে। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পরেও সনিয়া নেতা-কর্মীদের দিল্লির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। দু’দিন কেটে গেলেও কোনও নেতাকে সে ভাবে সে এলাকায় যেতে দেখা যায়নি। এমনকি এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার পরেও।’’
সনিয়ার নয়া নির্দেশের পরে আজ এই নেতারা তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন কংগ্রেস দফতরে। স্থির করেছেন, উত্তর-পূর্ব দিল্লির এলাকাগুলি আগামী কয়েক দিনে ঘুরে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন। সন্ধ্যায় প্রথমে তাঁরা হাসপাতালে যান, যেখানে আহতরা ভর্তি আছেন। তবে কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘হিংসা যখন চরমে উঠেছে, কংগ্রেসের উচিত ছিল তখনই এগিয়ে আসা। কিন্তু দিল্লিতে কংগ্রেস দুর্বল। নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। সদ্য হওয়া দিল্লি ভোটেও সংগঠন নামেনি। কেনই বা ওঁরা এখন সভানেত্রীর কথা শুনতে যাবেন? এআইসিসির নেতাদেরই তাই পাঠাতে হল ম্যাডামকে।’’
এ দিকে, আজই জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রমোদ কুমার এক বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়নের উদ্দেশে বলেছেন, সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত কাউকে ক্যাম্পাসে আশ্রয় দেওয়া যাবে না। কেউ তা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।