—ফাইল চিত্র।
কলকাতা ছাড়ার আগে দেশে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়ে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহর থেকে ভুবনেশ্বরের উড়ান ধরার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সমগ্র দেশের মানুষের কাছে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’’
নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-র বিরোধিতাকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ দিল্লি। চিন্তিত দেশের রাজনৈতিক মহল। তা নিয়ে মমতার প্রতিক্রিয়া, ‘‘যা চলছে, তা নিয়ে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন।’’ দিল্লির হিংসাত্মক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন এ সব চলছে আমি জানি না। আমরা ঘটনার উপরে নজর রাখছি। আমি মনে করি, সবার শান্তি বজায় রাখা উচিত। আমাদের দেশ শান্তির দেশ, মানবতার দেশ, ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলার দেশ। এখানে হিংসার কোনও স্থান নেই।’’
অন্য দিকে, দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘দিল্লিতে যাঁরা পুলশকে লক্ষ করে পাথর ছুড়ছেন, পিস্তল তাক করে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের কি ডেকে চা খাওয়ানো হবে? আমার মনে হয়, আরও কড়া ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা ভাল। এখন বিরোধীরা বলছেন, প্রশাসন কোথায়? আর যখন জামিয়া মিলিয়ায় প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছিল তখন তাঁরা বলেছিলেন, গণতন্ত্র কোথায়?’’
আরও পড়ুন: নাম কি সীতারামের, ঝুলে জোট সমীকরণ
দিল্লির এই অশান্তির কথা আগাম জানতে না পারাটা কি গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা? দিলীপবাবুর জবাব, ‘‘আগে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। সেটা হঠাৎ ওই রকম হিংসাত্মক হয়ে উঠবে, তা কী করে বোঝা যাবে? কার ব্যর্থতা আমি জানি না। তবে সব সত্য বার করার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের রয়েছে। সেই সত্য সামনেও আসবে।’’
দিল্লির ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের প্রতিটি থানাকেও সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিটি থানা যাতে নিয়ম মেনে এলাকায় টহলদারি চালায়, তার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা নির্দেশ দিয়েছেন।