কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। দিল্লিতে, সাংবাদিক সম্মেলনে। বুধবার। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধীর পর দিল্লির ঘটনা নিয়ে এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও। সরাসরি বললেন, দিল্লিতে শান্তি রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের রাজধানীতে শান্তি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব এখন সরকার আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরই।
বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রিয়ঙ্কা জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি জানাতে এ দিন তাঁরা পায়ে হেঁটে দিল্লিতে তাঁর বাসভবনে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের পথ আটকে দেওয়া হয়। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘দিল্লিকে এই ভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে। দিল্লিতে শান্তি রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের রাজধানীতে শান্তি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব এখন সরকার আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরই।’’
সিএএ-বিরোধী ও সিএএ-পন্থীদের সংঘর্ষে গত চার দিন ধরে অগ্নিগর্ভ দিল্লি। অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: ‘প্রশাসন নিষ্ক্রিয়’, দিল্লিতেও গুজরাত দাঙ্গার ‘মডেল’ দেখছেন বিরোধীরা
আরও পড়ুন: কার্ফু অগ্রাহ্য করে ইটবৃষ্টি, ঘরছাড়া বহু, অশান্ত দিল্লিতে মৃত্যু বেড়ে ২৩
ও দিকে, দিল্লির সংঘর্ষের দায় নিয়ে এ দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফা দাবি করেছেন সনিয়া গাঁধীও। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সনিয়া একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে।
এ দিন তিনি বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোথায় ছিলেন? কী করছিলেন তিনি? পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখেও কেন আগে থেকে আধাসেনা ডাকা হল না?’’
১৪৪ ধারা, কার্ফু জারি করেও দিল্লিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে দিল্লি পুলিশের ভূমিকায়। দিল্লির আইনশৃঙ্খলার ভার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপর। আর সেই মন্ত্রকের দায়িত্বে অমিত শাহ। সংঘর্ষ এত বড় আকার নেওয়ার জন্য শাহকেই নিশানা করে সনিয়া এ দিন বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ গোটা কেন্দ্রীয় সরকারই এর জন্য দায়ী। অমিত শাহের ইস্তফা দিন, এই দাবি করছে কংগ্রেস।’’
দিল্লির সংঘর্ষের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এই সংঘর্ষের পিছনে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে। দিল্লির ভোটের সময় দেশবাসী সেটা দেখেছে। অনেক বিজেপি নেতা উস্কানিমূলক মন্তব্য করে ভয় ও হিংসার পরিবেশ তৈরি করেছে। এমনকি, গত রবিবারও এক বিজেপি নেতা একই রকম মন্তব্য করেছেন।’’