রাষ্ট্রপতির কাছে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। ছবি: পিটিআই।
দিল্লি-হিংসায় গত পাঁচ দিনে ৩৪ জনের প্রাণ চলে গিয়েছে, আর বিজেপি-আপ ‘নীরব দর্শক’-এর ভূমিকা পালন করছে, রাষ্ট্রপতির দরবারে হাজির হয়ে তাই তাদের ‘রাজধর্ম’ পালনের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। পাশাপাশি হিংসা সামলানোয় ‘ব্যর্থ’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগও দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। সনিয়া গাঁধী ছাড়া সেই দলে ছিলেন মনমোহন সিংহ, পি চিদম্বরম, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী-সহ কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ।
দিল্লিতে বাড়তে থাকা হিংসায় উদ্বিগ্ন কংগ্রেস রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। ওই স্মারকলিপিতে লেখা রয়েছে, ‘‘রাষ্ট্রপতিজি, সরকারের বিবেককে রক্ষা করা এবং সরকারকে তার সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং রাজধর্ম স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য ভারতীয় সংবিধানে আপনাকেই সর্বোচ্চ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি সনিয়া গাঁধী। ছবি: এপি।
আরও পড়ুন: লাগামছাড়া হিংসার নিশানায় মুসলিমরাই, দাবি মার্কিন কমিশনের
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সনিয়া গাঁধী। তিনি জানান, রাষ্ট্রপতিকে দুটো বিষয় পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন। এক, দেশের মানুষ যেন পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকেন, কারও যেন প্রাণহানি না ঘটে। দুই, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তাঁর দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি ব্যর্থ। সে কারণে তাঁর পদত্যাগেরও দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি যেন সরকারকে ‘রাজধর্ম’ পালন করতে বলেন, সে অনুরোধও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিচারপতি বদলি নিয়ে তোপ রাহুল-প্রিয়ঙ্কার, ‘রুটিন বদলি’ বললেন রবিশঙ্কর
দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন। তা সত্ত্বেও বিপুল ভোটে সদ্য নির্বাচিত আপ সরকারকেও দিল্লি-হিংসায় বিঁধতে ছাড়েননি সনিয়া গাঁধী। গত পাঁচ দিনে যে ভাবে দিল্লিতে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে এবং ৩৪ জনের প্রাণ গিয়েছে, দু’শোরও বেশি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তার দায় বিজেপি এবং আপ-উভয়পক্ষের উপরই চাপিয়েছে কংগ্রেস। সনিয়া গাঁধী বলেন, ‘‘এই হিংসায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে কেন্দ্র এবং আপ।’’ কারণ এই ধরনের ঘটনায় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলকেও অগ্রণী ভূমিকা নিতে হয়। হিংসার আগাম আঁচ পাওয়া সত্ত্বেও কেন আপ আগে থেকে মাঠে নেমে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করেনি, সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে।