Delhi Violence

হিংসা বিধ্বস্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে এ বার খাল থেকে মিলল আরও ৩টি দেহ

সোমবার থেকে সংসদে শুরু হতে চলেছে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। মনে করা হচ্ছে, দিল্লির এই ভয়াবহ হিংসার ঘটনাকে সামনে রেখে সংসদে শোরগোল তুলবে বিরোধীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২০ ২০:৫৯
Share:

এখনও ছড়িয়ে ধ্বংসের চিহ্ন। ছবি: পিটিআই

হিংসা থেমেছে। তবে একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসা বিধ্বস্ত এলাকা থেকে। রবিবার ওই এলাকার দুটি খাল থেকে মিলেছে আরও তিনটি দেহ। তার ফলে দিল্লিতে সংঘর্ষের মৃতের সংখ্যা এখন হল ৪৬।

Advertisement

তিনটির মধ্যে এ দিন দু’টি দেহ উদ্ধার হয় ভাগীরথী বিহার খাল থেকে। বাকি একটি দেহ মেলে গোকলপুরী এলাকার একটি খাল থেকে। চার দিন ধরে চলা সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই দুশো জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সেই তালিকায় রয়েছেন পুলিশ কর্মীরাও।

ওই কাণ্ডে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নিতে বলেছে দিল্লি আদালত। তা নিয়ে দু’টি বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করেছে দিল্লি পুলিশ। ওই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হিংসা স্তব্ধ হলেও, তা নিয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। এই আবহেই সোমবার থেকে সংসদে শুরু হতে চলেছে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। মনে করা হচ্ছে, দিল্লির এই ভয়াবহ হিংসার ঘটনাকে সামনে রেখে সংসদে শোরগোল তুলবে বিরোধীরা। ঘটনার পর থেকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফা দাবি করছে একাধিক রাজনৈতিক দল। ইতিমধ্যে দিল্লিতে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে দলগত ভাবে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কাজ সেরে রেখেছে কংগ্রেস। ফলে দিল্লির ঘটনাকে সামনে রেখে সংসদের অধিবেশনে সরকার পক্ষকে কোণঠাসা করতে পারে বিরোধীরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘গোলি মারো…’! অমিতের সভার পথে স্লোগান উঠল কলকাতাতেও​

আরও পড়ুন: ‘লাজের’ সেই তাজমহলই কিনা ট্রাম্পের হাতে তুলে দিতে হল যোগীকে​

দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচার পর্ব থেকেই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠছিল। ভোট প্রচারে শাহিন বাগের প্রতিবাদীদের উদ্দেশে প্রথম বার ‘গোলি মারো...’ স্লোগান উঠেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের মিছিলে। তা নিয়ে বিতর্কও হয়। তবে সেখানেই তাতে ছেদ পড়েনি। বরং দিল্লি সংঘর্ষের আবহেই কপিল মিশ্র, প্রবেশ বর্মার মতো বিজেপি নেতারা সেই উস্কানিমূলক স্লোগান চালিয়ে গিয়েছেন বলেও নতুন করে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। রবিবার কলকাতায় অমিত শাহের সভাতে যোগ দিতে আসা বিজেপি কর্মীদের একাংশকেও ওই স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছে। সোমবার থেকে সংসদে সরকারের বিরুদ্ধে এ সব কিছুকেই হাতিয়ার করতে পারে বিরোধী পক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement