রবিবার দিল্লিতে। পিটিআই
বরফে ঢেকেছে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার মধ্যেই শীতে কাঁপছে দিল্লি। গত এক দশকের মধ্যে শীতলতম নভেম্বর হওয়ার রেকর্ড গড়ার পথে দেশের রাজধানী। বছর শেষ হতে আর এক মাস বাকি। আগামী দিনে ঠান্ডা আরও জাঁকিয়ে পড়বে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
গত প্রায় ছয় দশকের মধ্যে শীতলতম অক্টোবর হিসেবে এ বছরই নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে দিল্লি। অক্টোবরের গড় ন্যূনতম তাপমাত্রা ছিল ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ১৯৬২ সালের ১৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের থেকে সামান্য বেশি। নভেম্বরের গোড়া থেকেই পারদ আরও নামতে শুরু করে। নভেম্বরে দিল্লির গড় ন্যূনতম তাপমাত্রা যেখানে ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, সেখানে এ বছর নভেম্বরের ২৯ পর্যন্ত গড় ন্যূনতম তাপমাত্রা থেকেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজ, রবিবার রাজধানীর ন্যূনতম তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি নভেম্বরে এই নিয়ে সাত দিন দিল্লির ন্যূনতম তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রির নীচে নামল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামিকাল, সোমবারও এই তাপমাত্রার বিশেষ তারতম্য হবে না বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। আর সেটা হলে গত এক দশকে শীতলতম নভেম্বরের মুকুট উঠবে দিল্লির মাথায়। ২০১৬ থেকে ২০১৯, গত চার বছর নভেম্বরে দিল্লির গড় ন্যূনতম তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১২.৮, ১২.৮, ১৩.৪ এবং ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজধানীর এই হাড়কাঁপানো ঠান্ডাকে অবশ্য পাত্তাই দিচ্ছেন না পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশের হাজার হাজার কৃষক। তাঁরা গত ক’দিন ধরে মিছিল করে জড়ো হয়েছেন রাজধানীতে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে। তাঁদের আটকাতে জলকামান ব্যবহার করেছেন অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লি পুলিশ। এই প্রবল ঠান্ডার মধ্যে দিল্লি পুলিশের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ অনেকেই। কৃষকদের অবশ্য তাতে দমানো যায়নি। শীত অগ্রাহ্য করেই রাজধানীর বুকে সমাবেশ করছেন তাঁরা।