ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞার পরে রাজধানীতে অনেকটাই কমলো শব্দবাজির প্রকোপ।
দেওয়ালিতে শব্দবাজিতে নিষেধাজ্ঞা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন অনেকেই। কিন্তু আজ খাস দিল্লিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাজি পোড়ানোর পুরনো দৃশ্য প্রায় দেখাই যায়নি। রাজধানীর পুরনো বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, লাজপতনগর, পঞ্জাবিবাগের মতো এলাকায় একের পর এক কালীপটকা জুড়ে বিশাল চেন তৈরি করে ফাটানো হয়। এ বার তা তেমন দেখা যায়নি।
তবে বৃহত্তর রাজধানীর (এনসিআর) অন্তর্ভুক্ত গাজিয়াবাদের মতো এলাকাগুলিতে চিত্রটি সামান্য আলাদা। সেখানে প্রকাশ্যে শব্দবাজি বিক্রি হয়েছে। প্রচুর বাজি ফাটানোও হয়েছে। অনেকের মতে, গাড়ি থামিয়ে তল্লাশির মতো পদক্ষেপ করলে প্রকোপ আরও অনেকটাই কমানো যেত।
দূষণ মোকাবিলার জন্য সম্প্রতি গাড়ির পার্কিং ফি বাড়ানো, ডিজেলচালিত জেনারেটর সেট বন্ধ করার মতো পদক্ষেপ করেছে দিল্লি প্রশাসন। বদরপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, রোহিণী ও দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি বেআইনি বাজির ব্যবসা হয়েছে। মঙ্গলবার মোট ১২৪১ কেজি শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। মধ্য দিল্লিতে বাজি বিক্রি নিয়ে সাতটি এফআইআর হয়েছে। সেখান থেকে ১৪২ কেজি শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অনেক এলাকায় মিষ্টির দোকানের আড়ালে শব্দবাজি বিক্রি হয়েছে। শব্দবাজির অনলাইন বিক্রির উপরে কড়া নজর রেখেছিল দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল। দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র মধুর বর্মার দাবি, রাজধানী এলাকার ১৩টি জেলায় নজরদারি চালানোর জন্য বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। সাদা পোশাকে নজরদারি চালাচ্ছে তারা।