Durga Puja 2023

মাটির প্রতিমায় পাঁচ দিনের পুজো এ বার রামকৃষ্ণ মিশনেও

রাজধানীতে ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে পুজোর বাতাস। এ বছর ইস্ট প্যাটেলনগর পুজোসমিতি ৫৮তম বছরের পুজো আয়োজন করছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:১৪
Share:

রামকৃষ্ণা মিশন দিল্লি। —ছবি : সংগৃহীত

ছিয়ানব্বই বছরের ইতিহাসে এই প্রথম দিল্লিতে মাটির প্রতিমায় দুর্গাপুজো করবে দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশন। মিশনের সম্পাদক স্বামী সর্বলোকানন্দ মহারাজ জানিয়েছেন, “দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে আমাদের অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল দুর্গাপুজো করার। অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ছিয়ানব্বই বছরের ইতিহাসে এই প্রথম বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে দুর্গাপুজো হবে ২০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত।”

Advertisement

ভারতে বেলুড় মঠ-সহ ২৯টি রামকৃষ্ণ মিশন কেন্দ্রে দুর্গাপুজো হয়। দিল্লির রামকৃষ্ণ মিশন ৩০তম কেন্দ্র হিসেবে যোগ দিল। এত দিন মহাষ্টমীর দিন দুর্গা ঠাকুরের ছবিতে বিশেষ পুজো হত। এ বার প্রথম মাটির মূর্তিতে বোধন থেকে দশমী পর্যন্ত পুজো হবে। তৈরি হচ্ছে প্যান্ডেল, পাহাড়গঞ্জের রামকৃষ্ণ মার্গ মেট্রো স্টেশনের কাছে। মার্বেলের বেদীতে অধিষ্ঠান হবে মা দুর্গার। বসিরহাটের সিক্রা থেকে আসছেন একজন পুরোহিত। তিনি তন্ত্রধারকের কাজটি করবেন। আর এক পুরোহিত থাকবেন মিশনের তরফেই। এ ছাড়াও বীরভূম থেকে আসছেন ঢাকি, ঢুলিরা। মোট ৪ জন ঢাকি, ২ জন ঢুলি এবং একজন কাঁসিবাদক আসছেন থাকবেন। পুজোর চার দিন থাকছে ভোগ, প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা।

রাজধানীতে ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে পুজোর বাতাস। এ বছর ইস্ট প্যাটেলনগর পুজোসমিতি ৫৮তম বছরের পুজো আয়োজন করছে। আর দু'বছর পরে হীরক জয়ন্তী। এ বছর তাই বেশি জাঁকজমক হচ্ছে না। যাতে আগামী বছর প্রাক-হীরক জয়ন্তী ও তার পরের বছর হীরক জয়ন্তীর পুজো ধুমধাম করে করা যায়। তবে ঠাকুরের মূর্তি ও পুজোর তিন দিনের ভোগ খাওয়ানোয় কোনও রকম ঘাটতি রাখা হচ্ছে না। এ বার প্রথমবার মহাষ্টমীতে লুচির সঙ্গে আলুপোস্ত ভালই জমবে বলে মনে করছেন পুজো সমিতির সহ-সভাপতি শেলী ভৌমিক। সন্ধ্যাবেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা যোগ দেবেন।

Advertisement

আঠেরো বছরে পা দেওয়া বৈশালীর সেক্টর তিনে, সর্বজনীন শ্রীশ্রীপুজো সমিতির পুজোয় এ বারের থিম উত্তরাখণ্ড। এই পুজো কমিটি প্রত্যেক বারই কোনও রাজ্যকে থিমের কেন্দ্রে রাখে, যাতে বঙ্গসমাজ সেই রাজ্যের সঙ্গে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন তৈরি করতে পারে। থিমের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই প্যান্ডেল হচ্ছে কেদারনাথ মন্দিরের আদলে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েও নজির গড়ে এই পুজো। প্রতি বারের মতোই এবারও উদ্বোধনের দিন একটি চেক তুলে দেওয়া হবে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সেনা ও তাঁদের পরিবারদের নিয়ে কাজ করা একটি সামাজিক সংস্থার হাতে। প্রতি বছরই এই পুজো কমিটি জড়িয়ে থাকে বিভিন্ন
সমাজকল্যাণের কাজে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement