National news

দূষণে নাভিশ্বাস, সরকারি দফতরের সময় বদলাতে চলেছে দিল্লি

এই অবস্থায় দূষণের ক্ষতি এড়াতে দিল্লির সমস্ত অফিসের সময় বদলানোর পরিকল্পনা নিয়েছে অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৩৮
Share:

-ফাইল চিত্র।

কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না দিল্লির বায়ুদূষণ। বরং গত কয়েকদিন ধরেই বায়ুমানের সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স (একি‌উএল) ক্রমশ নীচের দিকে চলেছে। এই অবস্থায় দূষণের ক্ষতি এড়াতে দিল্লির সমস্ত অফিসের সময় বদলানোর পরিকল্পনা নিয়েছে অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার।

Advertisement

রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দিল্লির কনট প্লেসে একি‌উএল ৩৯১ মাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছে। একিউএল ০ থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে তা ভাল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সন্তোষজনক, ১০১ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘মডারেট’, ২০১ থেকে ৩০০ পর্যন্ত ‘খারাপ’ , ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত ‘খুব খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত ‘বিপজ্জনক’ । কনট প্লেসে একি‌উএল -এর কাঁটা ৩৯১ ছুঁয়েছে, যার অর্থ দূষণের মাত্রা অত্যন্ত বেশি।

দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্ত সরকারি অফিসের সময় বদলানোর পাশাপাশি দিল্লির রাস্তায় জোড়-বিজোড় পরিবহণ নীতি ফেরানোরও পরিকল্পনা নিয়েছেন কেজরীবাল। অফিসের সময় বদলানো বা জোড়-বিজোড় নীতি কোনওটাই নতুন নয়। ২০১৬ সালে দিল্লিতে বায়ুদূষণ প্রবল ভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রথম বার জোড়-বিজোড় নীতি হাতে নিয়েছিল কেজরীবাল সরকার। তখন বন্ধ রাখা হয়েছিল সব রকম নির্মাণ কাজ, কয়লানির্ভর শিল্প ও কল-কারখানা। ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে গণ পরিবহণ ব্যবহারের আর্জি জানানো হয়েছিল। তার জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সব রকম গণ পরিবহণের সংখ্যা। অতিরিক্ত ট্রেন ও মেট্রো চালানো হয়েছিল। এ বারেও পরিস্থিতি বুঝে সেই ব্যবস্থা নিতে পারে কেজরীবাল সরকার।

Advertisement

আরও পড়ুন: অযোধ্যা মামলা: রায় তাদের পক্ষেই আসবে ধরে নিয়ে আস্ফালন শুরু গেরুয়া শিবিরে

প্রতিবারই রাজধানীর বায়ুদূষণের পিছনে নানা কারণের পাশাপাশি কাঠগড়ায় উঠে আসে পড়শি রাজ্যের খড়কুটো পোড়ানোর অভ্যাস। তাতেই নাকি দূষণের ছবিটা আরও জটিল হয়, এমনটাই জানা গিয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু এজেন্সি আবার দিল্লির দূষণের জন্য পড়শি রাজ্যকে মাত্র ১০ শতাংশ দায়ী করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল সে রিপোর্ট পুরোপুরি অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ভারতে এখনও কারও কাছে এমন কোনও মেশিন নেই, যা দিয়ে এটা বোঝা সম্ভব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement