প্রতীকী ছবি
ঘরের বাইরে বেরতেন না। পারতপক্ষে কথাও বলতেন না কারও সঙ্গে। দিনের পর দিন কাটত না খেয়ে। ছোট্ট খুপরির মতো একটা ঘরে এই ভাবেই নিজেদের বন্দি করে রেখেছিলেন মা-মেয়ে। চার বছর পর দিল্লির মহাবীর এনক্লেভের সেই ঘর থেকেই অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় বুধবার উদ্ধার করা হল মা-মেয়েকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ওই ফ্ল্যাটে ২০ বছরের মেয়ে দীপাকে নিয়ে থাকতেন বছর বিয়াল্লিশের কলাবতীদেবী। পাশের ঘরেই থাকতেন কলাবতীদেবীর শ্বশুরমশাই মহাবীর মিশ্র। সম্প্রতি কলাবতীদেবী ও দীপার ঘরে আটকে থাকার খবরটি পুলিশকে ফোনে জানান এক প্রতিবেশী। এর পরেই পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
কিন্তু কেন দীর্ঘ দিন ধরে এই ভাবে নিজেদের ঘরে আটকে রেখেছিলেন কলাবতীদেবী আর তাঁর মেয়ে দীপা?
আরও পড়ুন: কত দিন দেখা হয়নি! বন্ধুর আলিঙ্গনে পাঁজর ভাঙল চিকিৎসকের
কলাবতীদেবীর শ্বশুরমশাই মহাবীরবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০০০ সালে একটি পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন তাঁর দুই ছেলে। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতেন তাঁর পুত্রবধূ ও নাতনি। ধীরে ধীরে আশেপাশের জগৎ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন তাঁরা। নিজেরাই একটা ঘরের মধ্যে বন্দি হয়ে থাকতেন। এমনকী, তাঁরা নিয়মিত খাবারও খেতেন না। মহাবীরবাবুর কথায়, ‘‘সামান্য পেনশন পাই। তিন জনের সংসারে সেইটুকুই সম্বল। ফলে হাসপাতালে রেখে বউমা আর নাতনিকে চিকিৎসা করানোর সাধ্য নেই আমার। তাই এত দিন ঘরেই থাকতেন ওঁরা।’’