পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। — প্রতীকী চিত্র।
জাল নথি বানিয়ে দিল্লিতে বসবাস করতে শুরু করেছিলেন পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক। ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথি না দেখাতে পারার কারণে তাঁদের গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। সব মিলিয়ে মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচ জন বাংলাদেশি এবং বাকিরা জাল নথি বানাতে তাঁদের সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য নথি চাল করার একটি চক্র দিল্লিতে সক্রিয় রয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
অবৈধ ভাবে দিল্লিতে বসবাস করা বাংলাদেশিদের খুঁজে বার করতে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করা হয় দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সচিবালয় থেকে। এর পরেই ১১ ডিসেম্বর থেকে পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়ে যায় দিল্লি জুড়ে। দিল্লির কোথায় কত বাংলাদেশি অবৈধ ভাবে বসবাস শুরু করেছেন, তা খুঁজতে শুরু হয় বিশেষ পুলিশি অভিযান। রবিবার দিল্লি পুলিশ জানায়, তারা এখনও পর্যন্ত সন্দেহভাজন ১৭৫ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করেছে।
লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সচিবালয় থেকে নির্দেশিকা পাওয়ার পরেই দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। স্থানীয় থানাগুলির পুলিশকর্মী এবং অন্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে সেই দল। কোথাও কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রয়েছেন কি না, সে বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে। এরই মধ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে দিল্লি পুলিশ জানায়, আরও পাঁচ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে তারা। একই সঙ্গে জাল নথি চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরও ছ’জনকে পাকড়াও করা হয়েছে।
রবিবার ত্রিপুরার আগরতলা থেকেও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ। আগরতলা স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে তাঁদের কলকাতায় আসার পরিকল্পনা ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পাশাপাশি অসম এবং মহারাষ্ট্রেও সম্প্রতি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছেন। অসম এবং ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ার কারণে এ সব অঞ্চলে অনুপ্রবেশের অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায়। তবে মহারাষ্ট্র বা দিল্লির মতো জায়গা থেকেও ধরা পড়ছেন অনুপ্রবেশকারীরা। রবিবার মহারাষ্ট্রের ঠাণে থেকে গ্রেফতার হন এক মহিলা-সহ আট বাংলাদেশি নাগরিককে। ওই অনুপ্রবেশকারীরা বেআইনি ভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। তাঁদের কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ দিনমজুর, আবার কেউ জলের পাইপ সারানোর কাজ করতেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।