পমবন সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
জাহাজকে পথ করে দেওয়ার জন্য সমুদ্র-সেতুর একাংশ উপরে উঠে যাবে। এমনই আধুনিক ব্যবস্থাসম্পন্ন নতুন পমবন সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিন দিনের শ্রীলঙ্কা সফর শেষ করে রবিবার তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে যান তিনি। সেখানে রামনাথস্বামী মন্দিরে পুজো দেন। তার আগে রামেশ্বরম থেকে মণ্ডপম (চেন্নাই) পর্যন্ত দীর্ঘ নয়া ওই রেলসেতুর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও।
ভারত মহাসাগরের উপরে রামেশ্বরম দ্বীপ থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ডে যেতে এই রেলসেতুর ভূমিকা অপরিসীম। ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ সরকার পুরনো পমবন সেতুটি তৈরি করেছিল। কিন্তু সামুদ্রিক বিপর্যয়, জোলো হাওয়ায় ওই সেতুর একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তা ছাড়া রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় পরিকাঠামোগত ভাবে উন্নত একটি সেতুরও দরকার ছিল। ২০১৯ সালে নতুন সেতু তৈরির বিষয়ে ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্র। পুরনো পমবন সেতুর পাশেই নতুন সেতুর কাজ শুরু হয়। অন্য দিকে, মোদীর সফরের পরেই সৌজন্যমূলক পদক্ষেপ হিসাবে শ্রীলঙ্কা সে দেশে আটক ১১ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিয়েছে রবিবার। এই ১১ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জলসীমান্ত অতিক্রম করে শ্রীলঙ্কায় ঢোকার অভিযোগ উঠেছিল।
এর আগে ভারতে সমুদ্রের উপর থাকা কোনও সেতুতে সেটির একাংশ তুলে দেওয়ায় ব্যবস্থা ছিল না। সে দিক থেকে দেখলে প্রযুক্তিগত দিক থেকে নজির গড়ল নতুন পমবন সেতু। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ২.০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু তৈরি করতে ৫৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সরকারের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেতুটি মরচে-নিরোধক ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, ফলে সমুদ্রের জোলো আবহাওয়াতেও সেটির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবে না। তা ছাড়া যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ভবিষ্যতে সেতুর উপর যাতে রেললাইনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়, সেই ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।