জলমগ্ন রাস্তায় খারাপ হয়ে পড়ে থাকা গাড়ি সরাচ্ছে প্রশাসন। ছবি— পিটিআই।
অবিরাম বৃষ্টির জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রামে। বন্ধ স্কুল। বন্ধ অফিস, চলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা বাড়ি থেকে কাজ। জলমগ্ন রাস্তায় ইতিউতি ভাসছে গাড়ি। শুক্রবারও বৃষ্টি কমার কোনও লক্ষণ নেই। হাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বৃষ্টি চলবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত রাজধানী দিল্লিতে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪০.৮ মিলিমিটার। এ নিয়ে টানা তিন দিন ধরে চলছে বৃষ্টি। এর ফলে রাজধানীর নিচু এলাকা ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও জলের তলায়। ফলে পথে বেরিয়ে যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে মানুষকে। দিল্লি পুলিশ আবেদন জানিয়েছে, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া যেন কেউই বাইরে বেরোন। একান্তই বাড়ি থেকে পথে বেরোতে হলে হাতে সময় নিয়ে বেরোনোরও আবেদন করেছে পুলিশ।
নয়ডা, গ্রেটার নয়ডায় সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গুরুগ্রাম প্রশাসন বেসরকারি অফিসগুলিকে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার আবেদন জানিয়েছে। সেখানেও শুক্রবার সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার আবেদন করেছে সরকার। দিল্লি নগর নিগম সূত্রে খবর, ফতেহপুর বেরি, সঙ্গমবিহার এবং টিকরি গাঁও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ে যানচলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকা। বাড়ি ধসে এবং দেওয়াল পড়ে গিয়ে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৩ জনের, আহত আরও ১১ জন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ফিরোজাবাদ ও আলিগড়ে। আলিগড়ে সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।